রোববার (২৬ মে) একাধিক বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের এ রাজ্যপ্রধান। দলের দুঃসময়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য প্রথমে মন্ত্রিসভার ও পরে লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ কাটাছেঁড়ায় দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নিরঙ্কুশ জয়ের পর হুমকির মুখে পড়েছে কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকারগুলো। বিশেষ করে, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য কংগ্রেসে বিদ্যমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
জানা যায়, রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে একাধিক মন্ত্রী কামাল নাথের বদলে জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়ার (৪৮) মতো তরুণ নেতাকে দলের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান। যদিও, এবারের নির্বাচনে জ্যোতিরাদিত্য তার পারিবারিক আসন গুনাতেই হেরে গেছেন।
এদিন, দলের সাধারণ সম্পাদক দীপক বাবারিয়ার একটি বক্তব্য থেকে এ বিতর্ক শুরু হয়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী কামাল নাথ দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন।
পরে, রাতে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিতে বাধ্য হন কামাল নাথ। বিবৃতিতে বলা হয়, তিনি বিধানসভা নির্বাচনের পর দায়িত্ব পালনে সুবিধার কথা ভেবে দলীয় সভাপতির পদ ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর নয়।
সে সময় দলের ভিন্ন মতাদর্শী নেতারা সাময়িকভাবে চুপ হলেও, সমস্যা শুরু হয় যখন জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়ার বদলে ৭২ বছর বয়সী কামাল নাথকে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ কোন্দলের ফলে দলের মধ্যে ফাটল শুরু হয়।
এর সঙ্গে যোগ হয় বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সভাপতি মায়াবতীর সঙ্গে মধ্য প্রদেশ কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব। রাজ্যটিতে কংগ্রেসের সরকার টিকিয়ে রাখতে মায়াবতীর সমর্থনের বিকল্প নেই। কিন্তু, নির্বাচনের আগে গুনার বিএসপি প্রার্থী কংগ্রেসে যোগ দিলে এ জোটের মধ্যে ফাটল ধরে।
কংগ্রেস শিবিরে এ দ্বন্দ্বের ফলে লাভবান হয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। মধ্য প্রদেশের ২৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ২৮টিতেই।
রাজস্থানে শচিন পাইলট ও মধ্য প্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্দিয়ার মতো তরুণ নেতাদের উপেক্ষা করায় দলের কর্মীদের মধ্যে তৈরি হওয়া হতাশাই নির্বাচনে ফলাফল বিপর্যয়ে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
একে