৬৮ বছর বয়সী বিজেপি নেতা শপথ নিতে মঞ্চে ওঠার সময় ‘মোদী, মোদী’ হর্ষধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় গোটা এলাকা। শপথ অনুষ্ঠানে দলের আরো দুই নেতার নামে তুমুল স্লোগান তুলে অভিনন্দন জানানো হয়।
ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পথে দলকে শক্ত হাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন অমিত শাহ। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ সহচর। ৫৪ বছর বয়সী এ নেতাই হতে যাচ্ছেন মন্ত্রিসভায় প্রথমবারের মতো যোগ দেওয়া সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রণালয়ের একটির দায়িত্ব পেতে পারেন তিনি।
মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় আলোচিত নাম ‘জায়ান্ট কিলার’ স্মৃতি ইরানি। গান্ধী পরিবারের নিয়মিত আসন আমেথিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে বড় কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারতের উন্নয়নে সবাই একসঙ্গে কাজ করবো।
এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দলটিতে তারুণ্যের উদ্যম ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণ রয়েছে। এতে এমন মানুষেরা যোগ দিয়েছেন, যারা নির্বাচনী বাধা পার হয়ে এসেছেন ও কর্মজীবনে সুখ্যাতি রয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারের মন্ত্রিসভায় নেই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শিগগিরই এ দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করবেন নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়া, গতবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যবর্ধন রাঠোর, জয়ন্ত সিনহা, জেপি নাড্ডা, অনন্ত হেগড়ের মতো প্রভাবশালী নেতারা।
এবারের নির্বাচনে ভোট হওয়া ৫৪২ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ৩৫২ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। এরমধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩০৩টি, যেখানে ভারতে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন হয় মাত্র ২৭২টি আসন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) শপথগ্রহণের আগমুহূর্তে জোটের অন্যতম শরিক বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার জানান, তার দল সরকারে অংশ নেবে না। কারণ, তাদের মাত্র একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে চেয়েছেন মোদী। নিতীশ কুমার তার দল থেকে অন্তত দু’জনকে মন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছিলেন।
মন্ত্রিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে সরকারে যোগ দেয়নি বিজেপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মিত্র অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগামও (এআইএডিএমকে)।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিরোধী দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র তারকা, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর নেতারা।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি ইউ উইন মিন্ট ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
একে