বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূলীয় এলাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির দেখা দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে নয়জন।
রত্নগিরি জেলার চিপলুন তালুকা এলাকার তিওয়্যার ড্যামের ধারণ ক্ষমতা ২০ লাখ কিউবিক মিটার পানি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে ফাটল দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক জেলা কর্মকর্তা। ড্যাম ফেটে যাওয়ায় নিম্নঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নয়টি গ্রাম। ভাসিয়ে নিয়েছে ১২ টি ঘর।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে উদ্ধার অভিযান চলাকালে রত্নগিরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশাল গেইকওয়াড দেশটির সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে গ্রামবাসীদের।
ক্ষতিগ্রস্তদের একজনের এক আত্মীয় বলছেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর ওই ড্যামে চিড় দেখা দিলে জেলা প্রশাসককে তা মেরামত করার জন্য বলা হয়েছিল।
তিওয়্যার ড্যাম কোনো তহশীলে অধিভূক্ত তা নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল। তাই চিপলুন এবং দাপোলি তহশীল অফিসকে গ্রামবাসীরা ড্যামের চিড় সারানো আবেদন জানালে, তা নাকোচ করে দেওয়া হয়-এমনটি জানিয়েছেন নিহত একজনের পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, এটা শুধু মাত্র তাদের অবহেলার কারণে ঘটলো। আমার স্ত্রী, বাবা-মা দেড় বছর বয়সী শিশু সন্তানকে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, ড্যামের ওয়ালে ফাটলের বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি।
রাজ্যের পানিসম্পদ মন্ত্রী গিরিশ মহাজন বলেছেন, গ্রামবাসী ফাটলের বিষয়টি জানিয়েছিল। এ ড্যামটি ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয়। কী অবহেলা করা হয়েছে, তা সরকার খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি দেওয়া হবে। আর পরবর্তীতে স্থায়ী ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, সুক্ষ্ম তদন্তের মাধ্যমে ড্যাম ফাটলের কারণ উদ্ধার করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
ইইউডি/আরআইএস/