মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) চমকপ্রদ এ খবরটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
নাম শিবা কেওয়াত, বাড়ি মধ্যপ্রদেশের সুমেলা গ্রামে।
একদিন নয়, শিবার জীবনের রোজকার ঘটনা এটি। তার জন্য বিব্রতকর হলেও, এলাকাবাসীর কাছে রীতিমতো বিনোদনের বিষয় হয়ে উঠেছে এ ঘটনা। অনেকেই শিবার বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করেন, কখন তিনি বের হবেন, আর শুরু হবে কাক-মানুষের লড়াই।
তারা বলেন, শিবার ওপর কাক যখন হামলা করে, সেটি ঠিক সিনেমায় যুদ্ধবিমান হামলা করার মতো দেখায়।
ঘটনার শুরু বছর তিনেক আগে। একদিন তারের জালে আটকা পড়া একটি কাকের বাচ্চাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিলেন শিবা কেওয়াত। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাচ্চাটি তার হাতের মধ্যেই মারা যায়। কিন্তু, তিনি যে উপকার করতে গিয়েছিলেন, বাচ্চাটিকে মারতে নয়- সেটি বোঝেনি কাকগুলো। তারপর থেকেই চলছে অবিরাম হামলা।
এখন বেশিরভাগ সময় লাঠি নিয়ে ঘুরতে হয় শিবাকে। তবে কোনো কাককে আঘাত করার ইচ্ছা নেই, শুধু তাড়িয়ে দিতেই লাঠি ব্যবহার করেন তিনি।
কাকের প্রতি শিবা ভালোবাসা দেখালেও বিনিময়ে পাচ্ছেন ঠিক উল্টোটা। হামলায় বেশ কয়েকবার আহত হয়েছেন তিনি। শরীরে রয়েছে বেশ অসংখ্য দাগ।
দীর্ঘদিন ধরে একই ঘটনা চলতে থাকায় তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। খোঁজ নিতে শুরু করেন সাংবাদিকরাও।
ভুক্তভোগী শিবা জানান, শুরুর দিকে কাকের বিষয়টি আমলে নেননি তিনি। কিন্তু, পরে দেখেন গ্রামের আর কাউকেই তারা আক্রমণ করছে না। কাকগুলো এতদিন ধরে তার চেহারা মনে রেখে প্রতিশোধ নিচ্ছে, ভেবে বেশ অবাক হন তিনি।
বরকতুল্লাহ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও পশু-পাখির আচরণ গবেষক অশোক কুমার মুঞ্জালের বিশ্বাস, সিংহভাগ পাখির চেয়ে কাকের বুদ্ধি বেশি। আর এ বুদ্ধিমত্তা তারা প্রতিশোধ নিতেও কাজে লাগাতে পারে।
সিয়াটল ও ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, কাকের বুদ্ধিমত্তা প্রখর। হয়রানি করা মানুষদের চেহারা তারা খুব ভালোভাবেই মনে রাখে। এছাড়া, অন্য কাকদের ডেকে ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুর ওপর হামলা করার ক্ষমতাও রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
একে