বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একাধিক পোস্টে এ ক্ষোভের কথা জানান ইমরান খান।
কাশ্মীরবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ইমরান লেখেন, মোদী সরকারের দখলদার বাহিনী আজ ৩২তম দিনের মতো কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
‘কারফিউ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার দরুণ হাসপাতালগুলোতে ওষুধপত্র ও দরকারি সরঞ্জাম নেই। মৌলিক চাহিদার যোগানও তলানিতে। ব্ল্যাকআউটের মাধ্যমে কাশ্মীরিদের কণ্ঠ বাইরের দুনিয়ায় পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেখানকার ভয়াবহতার কিছু কিছু গল্প পাওয়া যাচ্ছে। ’
কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সেভাবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ নিয়ে বিশ্ব মানবতার সমালোচনা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, বিশ্বকে অবশ্যই দেখতে হবে, কী করে ভারত কাশ্মীরে সব ধরনের আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু বিশ্ব এ ব্যাপারে নীরব কেন? যখন মুসলিমরা নির্যাতিত হয়, তখন কি আন্তর্জাতিক মহলের মানবতা মরে যায়? সে ক্ষেত্রে বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠীর কাছে কী বার্তা পৌঁছাচ্ছে?
জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা চলবে না জানিয়ে সবাইকে এ ব্যাপারে নজর দেওয়ার আহ্বান দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
গত ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পর থেকে ভারত সরকারের তীব্র সমালোচনা করে চলেছেন ইমরান খান। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে তার সরকার জাতিসংঘ থেকে শুরু করে নানা পর্যায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯
এইচজে