এর আগে দেশটির নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে এমপিদের ভোটে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এখনই না করার এই বিল পাস হওয়ায় হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) কমন্সে প্রথম দফায় হারার পর শুক্রবারও (০৬ সেপ্টেম্বর) লর্ডসে ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ ইস্যুতে বড় পরাজয় ঘটে কনজারভেটিভ সরকারের।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে কমন্সে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। তাদের সঙ্গে গিয়ে যোগ দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী এমপিরাও। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটি পাস হয়। হেরে যায় বরিস জনসন সরকার। পরে শুক্রবার এই প্রস্তাব যায় লর্ডসে। সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ায় আপাতত আটকে গেছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিট। যদিও রানি এলিজাবেতের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এখনও বাকি।
এছাড়া বুধবার কমন্সে আগামী ১৫ অক্টোবর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব এনেছিলেন জনসন। যে প্রস্তাবটিও নাকচ করে দেন বিরোধী দল এবং কনজারভেটিভ পার্টির বিদ্রোহী এমপিরা।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিদ্রোহী ২১ এমপিসহ বিরোধীদের ভোটে চুক্তহীন ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় হেরে যায় করজারভেটিভ সরকার।
আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। যা নিয়ে এখন ব্রিটেনের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা।
আরও পড়ুন>> বিদ্রোহীদের দাপটে আবারও হেরে গেলেন বরিস জনসন
বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
টিএ