শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১টা ৫৩ মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখার কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। এর আগে রাত ১টা ৪০ মিনিটে কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদে নামতে শুরু করে।
তবে এখনও হাল ছাড়েনি ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) বিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও হাল ছাড়েননি, তিনি বরং বিজ্ঞানীদের সাহস যুগিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর নিয়ন্ত্রণকক্ষে তিনি ৭০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত ২২ জুলাই এখান থেকেই যাত্রা শুরু করে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’। ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা ‘বিক্রম’ এর নামানুসারে তার নামকরণ করা হয়েছিল।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে ২ কিলোমিটার ১০০ মিটার (১ দশমিক ৩ মাইল) দূরত্বে শেষ সঙ্কেত পাঠিয়েছে।
ইসরোর বিজ্ঞানীদের বাহাবা দিয়ে মোদী বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। বিজ্ঞানের সেবার মধ্যে দিয়ে আপনারা মানবজাতির সেবা করেছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৪০০ মিটার উঁচু থেকে ছবি তুলে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ এর অবতরণের স্থান নির্বাচন করার কথা ছিল। চাঁদের গহ্বরের মাঝামাঝি কোনো সমতল এলাকায় অবতরণের পরিকল্পনা করা হয়। তবে বিকল্প হিসেবে একটি জায়গাও নির্বাচিত ছিল।
ইসরোর পরিকল্পনা মাফিক সব ঠিক থাকলে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ‘ল্যান্ডার বিক্রম’ এর ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে চাঁদের মাটিতে ঘোরাফেরা শুরুর কথা ছিল প্রজ্ঞানের। কিন্তু সবশেষ কী অবস্থা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেলো।
এ অবস্থায় বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, চাঁদের পৃষ্ঠতলের কাছাকাছি এসে গতিবেগ নিয়ন্ত্রণজনিত সমস্যায় পড়তে পারে ‘ল্যান্ডার বিক্রম’। চাঁদের মাটিতে ধূলিঝড়ের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা।
শনিবার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ