বিরোধীরা ইতোমধ্যে কিছুটা সফলও হয়েছে বলা যায়। এতে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি সাংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাধারণত বরিস জনসন ‘নো ডিল এক্সিট’ বিলকে উপেক্ষা করতে পারেন। পরে যদি তা আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং তাকে ব্রেক্সিটের জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করতে বলা হয়, তবে তাকে আবেদন করতে হবে। যদি তিনি এরপরও তা উপেক্ষা করে আবেদন করে ব্রাসেলসে (ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়) চিঠি না পাঠান আদালত অবমাননার দায়ে তার জেল হবে।
এর আগে ব্রিটেনের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে বিরোধী এবং বিদ্রোহীদের ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’র বিরুদ্ধে আনা বিল অনুমোদন পেয়ে যায়। দেশটির নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সেও চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এখনই না করার বিল পাস হয়। দু’টোতেই হেরে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরমধ্যে ছড়াচ্ছিল আগাম নির্বাচনের ডালপালাও। কিন্তু তা অনেকটা মিলিয়ে গেছে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পর পর দু’বার হেরে যাওয়ায়।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে হাউস অব লর্ডসে পাস হওয়া বিলটি সম্পর্কে বলেছেন, ‘তারা একটি আইন পাস করিয়েছে যা আমাকে ব্রেক্সিটের ক্ষেত্রে ব্রাসেলসের কাছে সময় ভিক্ষা করতে বাধ্য করবে! কিন্তু এ কাজটি আমি কখনই করবো না। ’
হাউস অব লর্ডসে বিরোধী এবং বিদ্রোহীদের ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’র বিরুদ্ধে আনা বিলটি আগামী সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্মতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৩১ অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ বা ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/