রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) হংকয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
১৪ সপ্তাহ ধরে চলা এ আন্দোলন থেকে এখন স্বাধীনতার দাবি উঠতে শুরু করেছে।
এক আন্দোলনকারীর পোস্টারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখা রয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, দয়া করে হংকংকে স্বাধীন করে দাও। আমাদের সংবিধানকে রক্ষা করো। ’
হংকংয়ে যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের সামনে আন্দোলনে অংশ নেওয়া চেরি (২৬) নামের একজন বলেন, এখন চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। হংকংয়ে চীনপন্থিরা পুলিশের সহায়তায় কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরার এটিই ভালো সুযোগ। আমরা হংকংয়ে মানবাধিকার নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হংকংয়ের বিষয়ে সংযত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
হংকংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি বাজি ধরে বলতে পারি, শি যদি বিক্ষোভকারীদের একদল প্রতিনিধির সঙ্গে বসেন তাহলে ১৫ মিনিটেই এর সমাধান সম্ভব। ’
তবে হংকংয়ে পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে তা কারও জন্যই শুভ ফল বয়ে আনবে না বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। হংকংয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যেন মানবিক আচরণ করা হয় সেজন্য বেইজিংকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদি এর ব্যত্যয় ঘটে তবে তা সম্ভাব্য চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তিতে প্রভাব ফেলবে বলেও ইঙ্গিত দেন পেন্স।
এদিকে যে বিলটি নিয়ে উত্তেজনা চলছিল তা বাতিল করেছে হংকয়ের বেইজিংপন্থি কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের নির্বাহী ক্যারি ল্যাম এ ঘোষণা দেন। কিন্তু এ ঘোষণার পরও আন্দোলন বন্ধ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এইচএডি/এইচএ/