ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে এফএম রেডিওতে সংকেত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান আর্মি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
কাশ্মীরে এফএম রেডিওতে সংকেত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান আর্মি কাশ্মীরে স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন

কাশ্মীরে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার পর, সেখানকার জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে এফএম রেডিওতে সংকেত পাঠিয়ে যোগাযোগ রাখছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এভাবেই জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতা সৃষ্টিতে সেদেশের সেনাবাহিনী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত হয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কাছে লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) এফএম স্টেশন স্থাপন করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত ‘কওমী তারানা’, এর মাধ্যমেই সংকেতগুলো পাঠানো হয়েছে জইশ-ই-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তাইবা এবং আল বদর নামক জঙ্গি সংগঠনগুলোর কাছে।

সন্ত্রাসী এই সংগঠনগুলো ভারতে বেশ কয়েকবার নাশকতা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে দেওয়ার পর গত আগস্টে ভারত সরকার রাজ্যটি থেকে টেলিফোন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তবে এর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই এই যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

জঙ্গি সংগঠনগুলো জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের সহযোগীদের কাছে বার্তা পাঠাতে জাতীয় সঙ্গীতটি এমএফ রেডিওর মাধ্যমে খুব সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গোয়েন্দারা বলছেন, উচ্চ ক্ষমতার কম্পাংকের (ভিএইচএফ) রেডিং স্টেশন থেকে সংকেতগুলো ভারতের দিকের লাইন অব কন্ট্রোল’র কাছে পাঠানো হচ্ছিল। যে সংকেতগুলোই জইশ-ই-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তাইবা এবং আল বদর ব্যবহার করে তাদের জম্মু ও কশ্মীরের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল।

ভিএইচএফ’র বার্তাগুলো লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে থাকা সন্ত্রাসীরা রিসিভ করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এবং সহিংসতা তৈরি করার জন্য নিকটস্থ গ্রামে ছড়িয়ে দিতো।

খবরে বলা হয়েছে-বিদম্যান এফএম রেডিওগুলোকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কাছাকাছি লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে সরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সিগন্যাল কোরে এজন্য নিয়েজিত করেছে ১০ জন কমান্ডারকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।