বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে এক ফোনকলে এ নিন্দার কথা জানান বাদশা সালমান।
ওই আলাপচারিতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, নেতানিয়াহুর ঘোষণাকে ফিলিস্তিনি জনসাধারণের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন বাদশা সালমান।
বাদশা বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখলে তৎপর থাকলেও ওই ভূখণ্ডের ওপর ফিলিস্তিনি জনতার অবিচ্ছেদ্য অধিকার ম্লান হয়ে যায় না। সৌদি আরব এ ধরনের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে সৌদি বাদশার এ দরদ ও গুরুত্ব আরোপের প্রশংসা করেন মাহমুদ আব্বাস। এ ব্যাপারে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশটির দৃঢ় ও স্পষ্ট অবস্থানের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
নেতানিয়াহুর ওই ঘোষণার পরপরই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আগামী শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি এক বৈঠক ডেকেছে। সৌদির এ পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট।
নেতানিয়াহুর এ ঘোষণায় সৌদি বাদশাহ এমন ‘অবস্থান’ প্রকাশ করলেও গত বছরই তাদের ‘চলনে-বলনে’ ইসরায়েলপ্রীতি প্রকাশ পায়। বিশেষ করে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স (পরবর্তী বাদশা) মোহাম্মদ বিন সালমান সেখানকার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা সামনে আসে। ইসলাম ধর্মের উৎপত্তিস্থল ও প্রধান তীর্থভূমি সৌদি আরব ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার না করলেও ওই সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নিজেদের ভূমির ওপর ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের অধিকার আছে। ’
তার ওই সাক্ষাৎকারের পর বলা হচ্ছিল, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের কোনো ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও উভয় দেশই আঞ্চলিক শক্তি ইরানকে নিজেদের হুমকি মনে করে বিধায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুতগতিতে তাদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে। সেটিই প্রকাশ পায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাক্ষাৎকারে।
এদিকে নেতানিয়াহুর পশ্চিম তীর দখলের নতুন ঘোষণায় ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ মালিকি। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কারণে দেশটিকে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এইচজে/এইচএ