সোমবার (১১ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দু’টিতে দাবানলে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
এ কারণে ওই দুই রাজ্যে জরুরি সতর্ক অবস্থা জারি করা হয়েছে। এই প্রথম নিউ সাউথ ওয়েলসের দমকল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করলো। রাজধানী সিডনিসহ রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলেও এই সতর্কতা জারি রয়েছে।
তবে কর্মকর্তারা বলছেন, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। কারণ, দাবানল পৌঁছে গেছে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর সিডনিতে।
দুই রাজ্যে ১২০টিরও বেশি স্থানে আগুন জ্বলছে। নিউ সাউথ ওয়েলসে দাবানলে ৯ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। ভস্মীভূত হয়েছে ১৫০টি বসতবাড়ি। অপরদিকে, কুইন্সল্যান্ডে পুড়ে গেছে নয়টি বাড়ি।
সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (রাজ্যপ্রধান) গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান এক বিবৃতিতে বলেন, যে যেখানেই থাকেন না কেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেকে বিপদমুক্ত ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
তবে, দাবানলের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আছে কি-না এনিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সরকার।
রোববার (১০ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, আগুনে যাদের পরিবারের সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের জন্য আমি শোকপ্রকাশ করছি।
মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার কথা রয়েছে। এতে পরিস্থিতি শুক্রবারের (৮ নভেম্বর) চেয়ে খারাপ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নিউ সাউথ ওয়েলসের রুরাল ফায়ার সার্ভিস কমিশনার শেন ফিজসিমন্স বলেন, আগামী সপ্তাহেও দাবানল খুব একটা কমবে না। ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে গ্রীষ্মকালে দাবানল অব্যাহত থাকতে পারে।
দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে এক হাজারেরও বেশি কিলোমিটার এলাকায়। ইতোমধ্যে এলাকা ছাড়ার সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে নিহত ৩, নিখোঁজ ৭
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এফএম