ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে ইউকে-কানাডা-কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ইস্যু পর্যবেক্ষণ করছে ইউকে-কানাডা-কোরিয়া

ঢাকা: ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করেছে মার্কিন বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছে। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।

ইরান বলছে, সোলেমানি হত্যার যথার্থ জবাব দেওয়া হবে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যুদ্ধ বাঁধাতে নয়, থামাতেই সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে ইরান হামলা চালালে আমরাও ছেড়ে দেবো না।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ইরাকের দুই মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় ১৩৫ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে ইরান।

যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্র-ইরান, এই দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই দু’দেশের মধ্যকার চলমার অবস্থা  পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়া।  এমন তথ্যই জানিয়েছে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ।

ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর এক টুইট বার্তায় কানাডিয়ান আর্মড ফোর্সের প্রধান জেনারেল জনাথান ভেন্স বলেন, সেখানে অবস্থানরত কানাডার নাগরিকরা সবাই নিরাপদে আছে। চলমান পরিস্থিতিতে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।

যুক্তরাজ্য বলছে, চলমান অবস্থায় আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা।

অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এক বিবৃতিকে জানিয়েছে, চলমান পরিস্থিতির আপডেট তারা প্রতি মুহূর্তেই পাচ্ছে। বিষয়টি তারা ‘নিবিড়ভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া কোরিয়ান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও তারা সতর্ক রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার এবং বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়।

মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৬২ বছর। ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ কেরমানের একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মেছিলেন তিনি। পরিবারকে সাহায্য করার জন্য মাত্র ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন তিনি। আর অবসর সময়ে যোগ দিতেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে।

১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের সময় ইরানের সামরিক বাহিনীতে কাজের মাধ্যমে প্রভাবশালী হয়ে উঠতে শুরু করেন সোলেমানি। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকি সীমান্তের কাছে একটি মিশনের নেতৃত্ব দিয়ে জাতীয় বীর হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি।

আরও পড়ুন>>>
***
আমেরিকা হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ শুরু হবে: ইরান
***মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা, ট্রাম্প বললেন ‘তথাস্তু’!
***ইরাকে মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।