ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
মহাকাশ থেকে তোলা ছবিতে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল ৩১ ডিসেম্বর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির তোলা ছবিতে অস্ট্রেলিয়ার দাবানল। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় তিন মাস ধরে ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া। এতে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে ৮০ লাখ হেক্টর বনভূমি ও দুই হাজার ঘড়-বাড়ি। দাবানলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৯ জন মানুষের। এছাড়া মারা গেছে প্রায় ১০০ কোটি প্রাণী। মহাকাশ থেকেও দেখা গেছে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়া এ দাবানল। মহাকাশ থেকে তোলা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কোপারনিকাস স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রকাণ্ড আগুন ও গাঢ় ধোঁয়া।

স্যাটেলাইট ডাটার অ্যানিমেশনে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের তীব্রতা। দেশটির পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের বিশাল এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ার চিত্র দেখা গেছে এতে।

জাপানের হিমাওয়ারি-৮ স্যাটেলাইট প্রতি ১০ মিনিট পরপর পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের ছবি তোলে। সেসব ছবিতেও অসামান্য চিত্র উঠে এসেছে।

গত অক্টোবরের শেষের দিকে জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) তোলা দাবানলের ছবি দিয়ে অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়ার বিজ্ঞানী গ্র্যান্ট ইউলিয়ামসন।

এক টুইটে উইলিয়ামসন বলেন, রাতারাতি জ্বলে নিভে যাওয়ার পাশাপাশি বিশালাকার আগুন, যা অনেকদিন ধরে জ্বলছে তাও চোখে পড়বে এতে। তীব্র ধোঁয়া ও মেঘের জন্য স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আগুনের স্থানগুলো শনাক্ত করা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ও ধোঁয়ার কুণ্ডলি।  ছবি: সংগৃহীত

গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মার্কিন মহাকাশ সংস্থা ‘নাসা’র স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, প্রবল বাতাসে ধোঁয়ার কুণ্ডলি ছড়িয়ে গেছে সাউথ আমেরিকা পর্যন্ত। ধূসর হয়ে গিয়েছিল চিলির আকাশ। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ডের আকাশও অগ্নিবর্ণ ধারণ করেছিল। জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানায়।

এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি অস্ট্রেলিয়ার দাবানল। দেশটিতে প্রথমবারের মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য ২৭শ’ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও তাদের বিপর্যস্ত বাসস্থান পুনর্গঠনে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। বাস্তুতন্ত্রের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, সেটি নিয়ে কাজ করবেন বিজ্ঞানীরা।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বাস্তুবিদ্যার অধ্যাপক ডেভিড লিনডেনমেয়ার বলেন, বনভূমি নতুন করে তৈরি হবে, কিন্তু কিছু প্রাণী পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।