ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমা নেতাদের মানসিক রোগের ডাক্তার দেখানো উচিত: রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
পশ্চিমা নেতাদের মানসিক রোগের ডাক্তার দেখানো উচিত: রাশিয়া দিমিত্রি পলিয়ানস্কি

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতারা যে মানসিক রোগে ভুগছেন, এ জন্য তাদের ডাক্তার দেখানো উচিত।  

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন বলে জানায় পার্স টুডে।

 

ইউক্রেনে যেকোনো সময় রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে অনেক দিন ধরেই বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্র পশ্চিমা নেতারা। এ বিষয়ে রাশিয়ার কূটনীতিক বলেন, আমি মনে করি তাদের ভালো ডাক্তার দেখানো উচিত। তাদের মানসিক রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

দিমিত্রি পলিয়ানস্কি আরও বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনী আমাদের ভূখণ্ডের ভেতরেই মোতায়েন করা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা কারও জন্য হুমকি হতে পারে না।
 
ইউক্রেন সীমান্তে কতজন সেনা মোতায়েন রয়েছে—এমন প্রশ্নের পলিয়ানস্কি বলেন, আমি সঠিক সংখ্যাটি জানি না। কারণ এ নিয়ে নানা রকম জল্পনা রয়েছে। আমি মনে করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বেলারুশের সঙ্গে আমাদের সামরিক মহড়া শেষ হবে। তারপর বাকী কী হবে, তা জানি না।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই দেশটির সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা থেকে সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।  

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে মঙ্গলবার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই ঘোষণার পর কিছু এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দেশটি।
 
বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রিমিয়া অঞ্চল থেকেও ‘আংশিক’ সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। সেই সৈন্যদের ইউক্রেন থেকে দূরের একটি মূল ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাতে করে নতুন কোনো সংকট দেখা দিলে দ্রুত সেনাদের আবার মোতায়েন করা যায়।  

প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষকরা বলেন, নানা পক্ষের কূটনৈতিক আলোচনার পর অবশেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। তবুও পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়ার হামলা আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।  

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পরিষ্কারভাবে বলেছে, কোনো প্রকার পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই যেকোনো মুহূর্তে ইউক্রেনে হামলা হতে পারে।  

এর আগেও ইউক্রেনে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে পশ্চিমাদের সতর্ক করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলেও দাবি করা হয়।  

রাশিয়ার সম্ভাব্য সামরিক হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেনে সাইবার হামলা হয়েছে। এই হামলা চালানো হয় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুটি ব্যাংকে।

মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়। একই সময়ে কিয়েভের দুই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে সাইবার হামলায় ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন গ্রাহকরা।  

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাইবার হামলা রাশিয়া চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনে। তবে কিয়েভের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে সব ঘটনার জন্য এখন রাশিয়াকেই দায়ী করা হবে, এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু এই সাইবার হামলার সঙ্গে রাশিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।