সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস এর প্রধান নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি এই মসজিদের মিম্বার থেকে ২০১৪ সালে কথিত ‘খিলাফত রাষ্ট্রে’র ঘোষণা দেওয়ার কারণে মসজিদ ও মিনারটি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও পরিচিতি লাভ করে।
ইউনেস্কো সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ-তহবিলের মাধ্যমে তিন বছরব্যাপী মেয়াদে মসজিদ ও তার মিনারের সংস্কারের সার্বিক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।
সংস্কারপ্রকল্পের ব্যবস্থাপক আবু বকর কিনান জানান, পুরানো মিনারের অবশিষ্ট অংশ সংরক্ষণ ও মসজিদের ধসে যাওয়া অংশের নির্মাণসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক যাবতীয় কাজ প্রকল্পটির আওতাধীন থাকবে।
ঐতিহাসিক ‘নুরি মসজিদ’ মসুলের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খলিফা ও সেনাপতি সুলতান নুর উদ্দিন জনকি এটি নির্মাণ করেছিলেন।
বিখ্যাত উমুভি মসজিদের পর মসুলে নির্মিত দ্বিতীয় মসজিদ এটি। মসজিদটি অনেকবার সংস্কার করা হয়। সর্বশেষ ১৯৪৪ সালে সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়।
২০১৭ সালের ২১ জুন মসুলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি বিস্ফোরক স্থাপন করে বিভিন্ন মসজিদও গুটিয়ে দেয় জঙ্গিসংগঠন আইএস। তখন তাদের ধ্বংসের হাত থেকে নুরি মসজিদ ও মসজিদের বিখ্যাত মিনারটিও রক্ষা পায়নি।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এমএমইউ/