সাভার (ঢাকা): ১০ ডিসেম্বর আসতে যত সময় গড়াচ্ছে, ততই সড়ক- মহাসড়কে যানবাহন কমে যাচ্ছে। যানবাহনের সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদেরও উপস্থিত কম লক্ষ্য করা গেছে সাভারের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে।
পরিবহন মালিকরা বলছেন, যাত্রী না থাকায় সড়কে তারা বাসের সংখ্যাও কমিয়ে এনেছেন। গতকাল থেকে তিন ভাগের এক ভাগ বাস সড়কে চলাচল করতে দিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দেখা গেছে, অল্প সংখক দূরপাল্লার বাস চলছে। সেইসঙ্গে প্রাইভেকারসহ গণপরিবহনও কম চলাচল করছে। এছাড়া অল্প সংখ্যক চলাচলরত এসব পরিবহনেও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ তলাশি চালাচ্ছে।
সাভারের নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দূরপাল্লার বাসের কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। এছাড়া যাত্রীর সংখ্যাও অনেক কম রয়েছে। ঢাকামুখী বাসগুলো ফাঁকা আসন নিয়েই আসছে।
নাবিল পরিবহনের মো. হৃদয় নামের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, সিরাজগঞ্জ থেকে আসতে প্রায় পাঁচ জাযগায় পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়েছি। বিষয়টি নিয়ে খারাপ লাগেনি। তবে আমি নিরাপদ মনে করছি। যাদের উদ্দেশ্য খারাপ তাদের সমস্যা হতে পারে।
সাভার পরিবহনের মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, চন্দ্রা থেকে নবীনগর হয়ে সদরঘাট রুটে সাভার পরিবহনের বাস চলে ২০০টি। কিন্তু আজ ২০ থেকে ২৫টি বাস সড়কে চলছে। যাত্রী সংকটের কারণে চালকরা বাস নামাচ্ছেন না। গত দুদিন ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী ও জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় চেকপোস্ট পরিচালনা করছে পুলিশ। চেকপোস্টে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ কারণে হয়তো হয়রানি এড়াতেই যাত্রীরা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সড়কে যাত্রী না থাকলে বাস বের করে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। চাকা ঘুরলেই তেল-গ্যাস খরচ হয়। আমাদের মতো অন্যসব পরিবহন মালিকরাও গাড়ি রাস্তায় বের করছেন না।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে চেকপোস্ট পরিচালনা করছি। যানবাহনে সন্দেহভাজন যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি অব্যাহত থাকবে। আর হঠাৎ পরিবহন কমে যাওয়ার কারণ বলতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২
এসএফ/আরবি