ঢাকা: বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেছেন, কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে আশ্রয়কেন্দ্র হারানো ১২ হাজার শরণার্থী, যাদের মধ্যে অর্ধেক শিশু, তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে যারা দ্রুত ছুটে এসেছেন, আমরা তাদের সাহসী কাজের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, যদিও প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি, ৬ হাজার শিশুর এখন জরুরি সহায়তার প্রয়োজন। ইউনিসেফ এবং আমাদের অংশীজনরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশু ও তাদের পরিবারকে সুরক্ষা ও সহায়তা দিতে রাতভর কাজ করেছে।
দুটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং আহত শিশু ও বড়দের জরুরি চিকিৎসা সহায়তা দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। একই সময়ে, আশ্রয় হারানো শিশুরা মনোসামাজিক সহায়তা পাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যারা হট্টগোলের মধ্যে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ২ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিপুল সংখ্যক সেবাকেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে। ওইসব সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে শরণার্থী শিশু ও তাদের পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেওয়া হতো। এর মধ্যে রয়েছে ২০টির বেশি শিক্ষাকেন্দ্র, অন্তত একটি পুষ্টিকেন্দ্র এবং বেশ কিছু স্যানিটেশন স্থাপনা।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ইউনিসেফের পরবর্তী অগ্রাধিকার হলো, এই সেবাকেন্দ্রগুলো মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করা, যাতে শিশুরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে এবং অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি ও স্যানিটেশন সেবা পেতে পারে।
আমরা আন্তরিকভাবে সেই সব রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছি, যারা দেশ থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর আরও একবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ মার্চ) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
টিআর/এমএমজেড