ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যের মেলা হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
‘প্রত্যেক মাসেই বহুমুখী পাটপণ্যের মেলা হবে’ মেলায় পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরও বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী (বীরপ্রতীক) গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সেদিন আর বেশি দূরে নয় সরকারের সফল উদ্যোগের ফলে বহুমুখী পাটপণ্য সবার হাতে পৌঁছাতে পারবো।  

রোববার (১২ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পাট দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বহুমুখী বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

১২ থেকে ১৬ মার্চ প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। এবার মেলায় ৭২টি উদ্যেক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।

তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ ধরনের দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শণী পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে।

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যত পারেন এ ধরনের মেলার আয়োজন করেন। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রফতানি করতে উৎসাহী হবেন।  

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা বানাতে হবে। উদ্যোক্তা বানানোর ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক পিছিয়ে আছি। সরকার উদ্যোক্তা বানাতে আগ্রহী। কারণ উদ্যোক্তা ছাড়া দেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোয় আরো বেশি মনযোগী হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালি আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সেলক্ষ্যে পাটখাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ও পাটসমৃদ্ধ ফরিদপুর জেলায় পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেনেসহ অন্যান্যরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এমকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।