ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের ভ্যানগার্ড ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামে অগ্রসেনা, সত্য আর ন্যায়ের পথে অবিচল বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর মঞ্চে ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিটি প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদের (কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন) সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক দীপক কুমার গোস্বামী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন সভাপতির বক্তব্যে শহীদ আবরার ফাহাদ সম্পর্কে বলেন, যে দেশকে ভালোবাসে, যে দেশের মানুষকে ভালোবাসে সে আর ভীরু থাকে না, সে সাহসী হয়ে ওঠে। সে যে কথাগুলো বলেছিল তা সত্য, সত্য প্রকাশের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে। সে একজন সাহসী সন্তান। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কষ্টের বিষয় হচ্ছে পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ।
শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, আবরার ফাহাদ ছোটবেলায় আসলে খুব ভীতু ছিল। সে ভীতু ছেলে হয়ে সম্পূর্ণ দেশের জন্য, দেশকে বাঁচানোর জন্য লেখালেখি করেছে। দেশকে বাঁচানোর জন্য সে স্ট্যাটাস দিয়েছিল। সে যে এ ধরনের লেখালেখি করেছে, তা আমরা পরিবারের কেউই জানতাম না। আমার ছেলের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পী হায়দার হোসেন রচিত গান ‘আমি চিৎকার করিয়া কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার’ গানটি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী রাফি তালুকদার। আলোচনা শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পে ভরা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘ও আলোর পথযাত্রী’ এবং ‘মোরা ঝঞ্জার মত উদ্দাম’সহ বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন।
আবরার ফাহাদের সাহস আর সংগ্রামকে উপজীব্য করে নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘ইউ ফেইলড টু কিল আবরার ফাহাদ’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
ডিএইচবি/এসআই