ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর তীরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহি বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনব্যাপী এ মেলাতে বিপুল সংখ্যাক মানুষের সমাগমে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুণ্য স্নানানের মধ্য দিয়ে মেলা শুরু হয়। জেলার ৯টি উপজেলাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নারী পুরুষ এ মেলায় এসেছেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ক্রয় করছেন লোকজন।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে- গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা। দেশীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ছাড়াও গৃহস্থলির সামগ্রীর অনেক জিনিস উঠেছে। এছাড়াও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান রয়েছে। বিক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।
মেলায় ঘুরতে আসা বুলবুল দাস বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আমাদের বাবা দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। তবে কালের আর্বতে ও আধুনিক জীবন যাপনের কারণে বর্তমানে লোকজ সংঙ্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর উৎকর্ষতা আগের মত নেই।
মেলায় পণ্য সামগ্রী কিনতে আসা শেফালী দাস বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিয়ে হয়ে এসেছি প্রায় ৪০ বছর হলো। ভাদুঘরের বারুণীর মেলার আনন্দটাই অন্য রকম। এখানে আমাদের ছোট বেলার নানা মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। যা আমাদের শৈশব কৈশোরের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
জনশ্রুতি রয়েছে, বৈশাখ মাসে নবাবরা তাদের খাজনা আদায়ের জন্য একটি নির্ধারিত সময় ঠিক করে দিতেন। নির্ধারিত সময়ে প্রজারা খাজনা দিতে আসলে তাদের খাবার দাবারসহ বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে বসত বিক্রেতারা। সেটাই কালক্রমে মেলায় রুপ নিয়েছে। অপর একটি জনশ্রুতি রয়েছে, হিন্দুদের বারুণী স্নান থেকেই এ মেলার উৎপত্তি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম জানান, দিনব্যাপী এ মেলায় পুলিশ সদস্যারা সার্বক্ষণিক চারদিক নজরদারি রাখছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এসএম