ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাথা গোঁজার ঠাঁই চান রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকৃত জনগণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
মাথা গোঁজার ঠাঁই চান রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকৃত জনগণ

নীলফামারী: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া শত শত গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চান।  

উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে নির্মাণাধীন ২৫টি ও কাওলা গ্রামে ১৮টি পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এসব বাড়ি তাদের কেউ পাননি।  

উপজেলার ভোগডাবুডি ইউনিয়নের অন্তর্গত চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারতের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য রেলের জমিতে অবৈধবাবে বসবাসরত শত শত পরিবারকে উচ্ছেদ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারগুলো অত্যন্ত দরিদ্র, নিজস্ব কোনো আশ্রয় নেই। তাই পরে এসব পরিবার আত্মীয়-স্বজনসহ অন্য লোকেদের জমিতে বা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এজন্য তারা সরকারি বাড়ি পেতে বিভিন্ন মহলের কাছে দিনের পর দিন ধরনা দিচ্ছেন।

রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকৃত তারিকুল বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ তাদের জমি থেকে আমাদের তুলে দেওয়ার পর থেকে আমি শ্বশুর বাড়িতে থাকি। ডোমারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারের অফিসে আশ্রয়ণের বাড়ির জন্য আবেদন করেছি।  

আব্দুল মান্নান বলেন, রেলের জমি থেকে তুলে দেওয়ার পর থেকে অন্যের জমিতে বসবাস করে আসছি। আমিও একটা আশ্রয় চাই।

১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ও ভারতের যুদ্ধের সময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল রুট বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারতের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলের পরিত্যক্ত জমিতে কর্মহীন দুস্থ ভূমিহীন জনগণ বসবাস করে আসছিলেন।  

ভোগডাবুডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে দুটি সরকারি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে এবার ৪৩ জন জমিসহ বাড়ি পেয়েছেন। জমির দলিল ও ঘরের চাবি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যারা বাড়ি পেয়েছেন, তাদের তালিকা অনেক আগেই করা হয়েছিল।  

ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও, ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস হেপি বলেন, রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকৃতদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার বিষয়টি জেলা প্রশাসক স্যার দেখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।