নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে স্ত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় স্বামী মো. আহম্মদ আলীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী জেলার লালপুর উপজেলার গোধরা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে।
নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০০৩ সালের ১২ জুন জেলার বড়াইগ্রামে দণ্ডপ্রাপ্ত আহম্মদ আলী নিজের পরিচয় গোপন করে ভিকটিমকে বিয়ে করেন।
পরে আসামি আহম্মদ আলী তার স্ত্রীকে পাচারের উদ্দেশে নাটোর শহরে নিয়ে এসে একটি বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে আহম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের বাবা খোঁজ করতে করতে একপর্যায়ে আত্মীয়-স্বজনসহ ১৯ জুন তাকে নাটোর শহরের গাড়িখানা গোরস্থান এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে, অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারক আহম্মদ আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন এবং একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২৩
আরএ