ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পরিবারসহ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চাইলেন বরখাস্ত ডিএজি এমরান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
পরিবারসহ মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে আশ্রয় চাইলেন বরখাস্ত ডিএজি এমরান

ঢাকা: ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে সপরিবারে উপস্থিত হয়ে আশ্রয় চেয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের (ডিএজি) পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।

শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই এ তথ্য জানান।

এমরান আহম্মদ বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হাজির হয়েছি। বন্ধের দিন হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতরে যেতে দেননি। মূল ফটকের পাশে একটি কক্ষে আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে জানানোর মতো কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। ’

জানা গেছে, পুলিশি নিরাপত্তায় রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসায় ফিরেছেন এমরান। গ্রেপ্তারের শঙ্কা নেই বলে সরকারের তরফ থেকে দূতাবাসকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তারা এমরানকে এ তথ্য জানালে তিনি বাসায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া মার্কিন দূতাবাস থেকে সপরিবারে চলে গেছেন।

উল্লেখ্য, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন এমরান আহম্মদ। শুক্রবার সকালে তাকে বরখাস্তের বিষয়টি জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার ১৯৭২-এর ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার নিয়োগাদেশ জনস্বার্থে বাতিলক্রমে তাকে ডেপুটি জেনারেল পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। ’

সম্প্রতি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি পাঠান ১০৪ জন নোবেল বিজয়ীসহ বিশ্বের ১৭৫ ব্যক্তিত্ব।  

ওই খোলা চিঠির বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ৪ সেপ্টেম্বর ডিএজি এমরান আহম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে এতে সই করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বিবৃতিতে সই করব না। ’

৫ সেপ্টেম্বর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে সই না করার বক্তব্য দিয়ে এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন।

এরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অত্র অফিসের সকল বিজ্ঞ আইন কর্মকর্তাকে সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কোনো প্রকার বক্তব্য প্রদানের পূর্বে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেল মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ ও পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে বক্তব্য প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয় অনুরোধ করা হলো। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
এসএমএকে/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।