ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ দোকান কর্মচারী আলআমিন হোসেন বাবু (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই ঘটনায় আগুন নেভাতে গিয়ে বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ২ সদস্য দগ্ধ হয়ে মারা যান।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা জানান, আলআমিনের শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
স্বজনরা জানান, আলআমিনের বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলায়। তার বাবার নাম মৃত রতন হাওলাদার। টঙ্গী রেলওয়ে কলোনিতে থাকতেন তিনি।
সহকর্মী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যেই মার্কেটে সেদিন আগুন লেগেছিল, তার পাশের একটি হার্ডওয়্যার ও রঙের দোকানের কর্মচারী তারা। তাদের গোডাউন রয়েছে আগুন লাগার ওই মার্কেটে। এজন্য আগুনের খবর শুনে তারা সেখানে গিয়েছিলেন মালামাল উদ্ধার করতে। তখনই আগুনে পুড়ে যান আলআমিন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর টঙ্গী সাহারা মার্কেটের একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। খবর শুনে আগুন নেভাতে যায় টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ৭টি ইউনিট। অগ্নিনির্বাপনের সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে পুড়ে যায় ৪ ফায়ার ফাইটার ও দোকানদার। ওইদিনই তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ ও নুরুল হুদা। শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি খন্দকার জান্নাতুল নাইম। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. ফারুক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজেডএস/জেএইচ