ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ

বরিশাল: বরিশালের বানারীপাড়ায় অস্ত্রোপচারের পর প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই করার অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি একটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১৭ দিন পর দ্বিতীয় দফায় অপারেশন করে প্রসূতির পেট থেকে ওই গজ বের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোগীর বোন ইসরাত জাহান জানান, বানারীপাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের বাড়ি। বোন শিল্পী আক্তারের প্রসব বেদনা উঠলে ডা. মো. লুৎফুল আজিজের অধীনে পৌর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত না পেরে ১৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার মাধ্যমে কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।

তিনি আরও জানান, অপারেশনের পর থেকে কয়েকদিন প্রস্রাব পায়খানা বন্ধ থাকায় আমরা টেনশনে পরে যাই। পরে বেসরকারি ওই হাসপাতালে গেলে তারা বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করে, তবে আমাদের কিছুই জানাচ্ছিল না তারা। পরে বোন আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই।

শেবাচিমে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, আমার বোনের পেটের মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। তারা আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করান। তবে ঝুঁকি বুঝেও আমরা সিনিয়র এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই এবং তার রেফারেন্সে ২৯ সেপ্টেম্বর শেবাচিম হাসপাতালেই বোনের অপারেশনটি হয়।

ইসরাত জাহান জানান, প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন থিয়েটারে ছিল আমার বোন। তার পেট থেকে বেশ লম্বা গজ বের করা হয়।

তিনি চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেন, আর দুই তিনদিন এইভাবে থাকলে আমার বোন মারা যেতেন।

মৃত্যু পথযাত্রী বোনের অপচিকিৎসায় যারা দায়ী তাদের বিচার দাবি করেছেন ইসরাত জাহানসহ তার স্বজনরা।

এ বিষয়ে জানতে ওই হাসপাতালের যোগাযোগ করা হলে অর্পণ নামে এক ব্যক্তি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না। বিস্তারিত জানতে হলে স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি।  

তবে সন্ধান না পাওয়ায় এবং নাম্বার না দেওয়ায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক আজীজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।