ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

টার্গেট করতেন ফাঁকা বাসা, অ্যাসিডে তালা খুলে লুট করতেন গয়না-টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২৪
টার্গেট করতেন ফাঁকা বাসা, অ্যাসিডে তালা খুলে লুট করতেন গয়না-টাকা

সিরাজগঞ্জ: আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ফাঁকা বাসাবাড়ি ও দোকানে চুরির জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিলেন সংঘবদ্ধ চোরের দল। সেই চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়াও চুরির মালামাল কেনাবেচায় জড়িত এক ব্যবসায়ীকেও আটক করা হয়েছে।

সাধারণ ব্যবসায়ীর বেশে থেকে ফাঁকা বাড়ি টার্গেট করে অভিনব পন্থায় অ্যাসিড ব্যবহার করে তালা খুলতেন তারা। এরপর সোনার গয়না ও টাকা পয়সা লুটে নিয়ে পালিয়ে যেতেন।

শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজওয়ান আহম্মেদ।

আটকরা হলেন- মাদারীপুর জেলা সদরের পুনিয়া বনগ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫২), একই গ্রামের মো. ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৪০), ভারুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে মো. রফিক ব্যাপারী (৩৭) এবং ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার বিত্তিরাণীনগর ঘোষপাড়া গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে সাধন কুমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে এএসপি রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বাজার স্টেশনের পাশে আল-হামরা আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে অন্য জেলা থেকে আসা বেশ কয়েকজন চোর অবস্থান করছেন। তারা বিভিন্ন বাসা ও দোকানে চুরির জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে চুরি করার সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করা হয়।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা শহরের সুবিধাজনক বাসা বাড়ি বা দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিলেন। তাদের যেন সন্দেহ না হয় এ জন্য নিম্নমানের হোটেলে অবস্থান নিয়েছিলেন। কোনো চুরি শেষ হলে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানার সাধন কুমার বিশ্বাসকে খবর দিতেন তারা। পরে সাধন কুমার সেগুলো নিয়ে যেতেন।

আটকদের দেওয়া তথ্যমতে শৈলকূপা থানায় নিজ বাড়ি থেকে সাধন কুমার বিশ্বাসকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সোনার চেইন ও কানের দুল উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ২১টি চাবির ঝোপা, দুইটি হাতুড়ি, সেলাই রেঞ্চ, দুই বোতল অ্যাসিড, লোহার রড, স্বর্ণ ওজনের ডিজিটাল মেশিন, একটি তালা ভাঙার চাইনিজ কাটার জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এএসপি রেজওয়ান আহম্মেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।