ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নষ্ট হচ্ছে জাটকা অভিযানে জব্দ জেলে নৌকাগুলো

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
নষ্ট হচ্ছে জাটকা অভিযানে জব্দ জেলে নৌকাগুলো

চাঁদপুর: জাটকা রক্ষায় এ বছর চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জেলে আটকের পাশাপাশি মাছ ধরার ৬০টি নৌকা জব্দ করা হয়। এসব নৌকাগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকে।

তবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর মালিককে জব্দ নৌকা ফেরত নিতে হয়।  

দীর্ঘদিন পড়ে থাকলে নৌকাগুলোতে থাকা মূল্যবান ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন অংশ রোদ ও বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় বলে জেলেদের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বলছে আইনি প্রক্রিয়া ও আদালতের নির্দেশ ছাড়া এসব নৌকা মালিককে দেওয়ার ইখতিয়ার কারো নেই।

সোমবার (৬ মে) সকালে শহরের মাদরাসা রোড লঞ্চ ঘাটের দুই পাশে নৌ পুলিশের অভিযানে জব্দ নৌকাগুলো পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের হাতেনাতে আটক ও তাদের হেফাজতে থাকা জেলে নৌকা জব্দ করা হয়। দুই মাসে আটক তিন শতাধিক জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা করা হয়। কিন্তু জেলেদের সঙ্গে থাকা জব্দ জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জেলে নৌকা মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।

চাঁদপুর শহরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলে রমজান আলী, ইছহাক ও মহসীন মিয়া বলেন, আমরা গোপনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে নেমে মাছ ধরেছি। যে কারণে দুই মাস জেল খাটতে হয়েছে। জেল থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের নৌকাগুলো নষ্ট হয়ে আছে। আদালত যদি কম সময়ের মধ্যে আমাদের নৌকাগুলো নেওয়ার নির্দেশ দেন তাহলে নিতে পারব। বর্তমানে কিছু নৌকা ভেঙে চলার অযোগ্য হয়ে গেছে।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, জাটকা রক্ষায় এবারের অভিযান খুবই কঠোর এবং সফল হয়েছে। অভিযানে অনেক জেলে, জাল, জাটকা ও নৌকা জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযানে এবং নৌ পুলিশের অভিযানেও মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। সব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে। জব্দ নৌকাগুলোর বিষয়ে আদালতের নির্দেশে পরবর্তী আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমাদের গত দুই মাসের মৎস্য অভিযানে যেসব জলযান ও নৌকা জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পরবর্তী আইনানুগ নিষ্পত্তির জন্য কার্যক্রম চলমান আছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশক্রমে কিছু নৌকা মালিক ফেরত পেয়েছে। বাকিগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, এ বছর দুই মাসের অভিযানে জেলা টাস্কফোর্স মাছ ধরার ৬০টি নৌকা জব্দ করে। এসব নৌকা বর্তমানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব নৌকা নিলামে বিক্রি করবে। আর নৌ পুলিশের হেফাজতে থাকা নৌকা আদালতের নির্দেশের পর মালিক নিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।