খুলনা: খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষায় খুলনায় ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু হয়েছে। মানুষের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে দেশের সাত বিভাগে সাতটি ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি চালু করা হয়েছে।
খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. মোকলেছুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে বলেন, মন্ত্রাণালয় হতে খুলনার জন্য খাদ্য পরীক্ষার একটি মোবাইল ল্যাব দেওয়া হয়েছে। এখানে খাদ্যের বিশুদ্ধতা পরীক্ষার আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যেটা জনস্বার্থে খাবার পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হবে। প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি খাবারের পরীক্ষা করার কার্যক্রম সম্প্রতি শুরু হয়েছে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া থাকলে সহজেই শনাক্ত করে ফেলবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এই পরীক্ষাগারে খাদ্যপণ্যের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। মিলবে তাৎক্ষণিক ফলাফল, নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থাও।
খুলনা জেলাতে যাতে খাবার নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ল্যাব যথাযথভাবে কাজ করতে পারে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ভেজাল খাদ্য স্থাপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে সকলের প্রতি আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।
ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে যে সকল পরীক্ষা করা যাবে:
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্চ, ইউরিয়ার উপস্থিতি, ঘি-তে বনস্পতি/হাইড্রোজিনেটেড এডিবল ফ্যাটের উপস্থিতি, হলুদের গুঁড়ায় লেড ক্রোমেটের উপস্থিতি, মরিচের গুঁড়ায় ইটের গুঁড়ার উপস্থিতি, গোল মরিচে পেঁপে বীজ মেশানো, নারিকেল তেলে ভেজাল, শাক-সবজি ফলমূলে রং দেয়া ও বালাইনাশকের মাত্রা নির্ণয়, মধুতে চিনির মিশ্রণ, পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি, খাদ্যে অননুমোদিত কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি, খাদ্যে ক্ষতিকর ভারী ধাতুর উপস্থিতিসহ আরও অনেক পরীক্ষা করা যাবে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবরেটরিতে ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২৪
এমআরএম/এসএএইচ