ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিবচর পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
শিবচর পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

মাদারীপুর: অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা, খাল, পুকুর, জলাশয় ভরাট করে বহুতল ভবন তৈরি, যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে বৃষ্টি নামলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা!

মাদারীপুর জেলার শিবচর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে দেখা গেছে এমন চিত্র। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় রোদ না ওঠা পর্যন্ত জমে থাকে পানি, ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

 

ভুক্তভোগীরা জানান, পৌর বাজারের বিভিন্ন স্থান ছাড়াও মানুষের বাসাবাড়ি এবং সড়কও ডুবে থাকে পানিতে।  

অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই নিচু স্থানে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জমে থাকা পানির পরিমাণও বাড়তে থাকে, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শিবচর উপজেলার পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নিচু স্থানে জমে আছে প্রায় হাঁটু পানি! পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থান, মাছবাজার এবং ডাকঘরের সামনেও জলাবদ্ধতা।  

স্থানীয়রা জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো নয়। পানি আটকে থাকে ড্রেনে। বৃষ্টি বেশি হলেই ড্রেন ভরে যায়। অনেক স্থানের পানি সরাসরি ড্রেনে যেতে না পারায় জমে থাকে। রোদ উঠলে পানি শুকাতে কয়েকদিন লেগে যায়। আধুনিক পৌরসভার কথা বলা হলেও, ভারী বৃষ্টি নামলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হলেই শিবচর পৌর এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ইতোপূর্বে ভুক্তভোগীরা পৌর প্রশাসনকে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগের বিষয়ে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে পৌর এলাকার ডিসি রোড, ১ নম্বর ওয়ার্ডের গুয়াতলা, পশু হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি, বাড়িতে যাওয়া-আসার সড়ক পানিতে নিমজ্জিত।  

এছাড়াও বৃষ্টি নামলেই পৌরসভার কাঁচাবাজার সংলগ্ন ডাকঘর অফিস, মাছ বাজার, খলিফাপট্টির একাধিক স্থানসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বর্ষা মৌসুমে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

গুয়াতলা এলাকার মামুন মোড়ল নামে এক ব্যক্তি জানান, বৃষ্টি নামলেই পানি জমে যায়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার পুকুর, ডোবা, খাল ভরাট করায় এখন আর পানি নিষ্কাশনের জায়গা নেই। পৌরসভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থাও খারাপ। সব মিলিয়ে আমরা দুর্ভোগে আছি।

নাহিদ কাজী নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, পানি কমে যাওয়ার পর শুরু হয় কাদামাটির সমস্যা, এ সমস্যা সহজে যায় না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাতায়াতসহ বেশ দুর্ভোগ লেগেই থাকে। পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবর খান বলেন, আমরা চাই পানি দ্রুত নিষ্কাশন হোক। পানি জমে থাকায় আমাদের ভীষণ কষ্ট হয়।

পৌরসভার ডিসিরোড এলাকার জিয়াসমিন বেগম বলেন, পৌরসভার মধ্যে বসবাস করলেও বৃষ্টি মৌসুমে আমরা দুর্ভোগে থাকি। ১০ বছর ধরে সাঁকো দিয়ে পারাপার হই।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও শিবচর পৌরসভার প্রশাসক আজমেরী সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, পৌরসভার যে সব স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, আমরা খোঁজ নিয়ে তা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ