ঢাকা, বুধবার, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আওয়ামী লীগ সরকারের আয়নাঘরগুলো বন্ধ করা হয়েছে: ড. ইউনূস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
আওয়ামী লীগ সরকারের আয়নাঘরগুলো বন্ধ করা হয়েছে: ড. ইউনূস

ঢাকা: গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের কষ্ট ও এখনো যারা স্বজনদের জন্য অপেক্ষায় আছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উৎখাত হাসিনার সরকারের আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গুম-খুনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ‘গুম সংস্কৃতির’ সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করার জন্য পৃথক একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র ও ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সাথে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যথী।

ড. ইউনূস বলেন, আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে বের হয়ে আসছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের গুমের শিকার ভাইবোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা গাথা।

তিনি গণ-অভ্যুত্থানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলেও এ সময় জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি আগেও জানিয়েছি, আবারও জানাচ্ছি; গণ-অভ্যুত্থানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সরকার। আহতদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নতুন তথ্য পাওয়ার ভিত্তিতে এই তালিকা হালনাগাদ করা হতে থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার তার যাত্রা লগ্নে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এখন সে ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে। সব শহীদ পরিবার ও আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এ ফাউন্ডেশন গ্রহণ করছে।

এই ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য দেশের সব মানুষ ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আহ্বান জানান ড. ইউনূস।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এমইউএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।