ঢাকা, শনিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গোপালগঞ্জে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদারের মরদেহ হস্তান্তর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
গোপালগঞ্জে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দিদারের মরদেহ হস্তান্তর

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গাড়ি বহরে স্থানীয় জনতার হামলায় নিহত কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদারের মরদেহ নিজ বাড়ি ঢাকার জুরাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বুঝে নেন নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান ও শ্বশুর হাবিবুর রহমান।

পরে তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে ঢাকার জুরাইনের উদ্দেশে রওনা হন। এ ঘটনায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। পরে দলীয় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর মামলা করা হবে।  

এদিকে এ হত্যাকাণ্ড ও হামলার প্রতিবাদে বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেতাকর্মীরা।

নিহতের স্ত্রী রাবেয়া রহমান বলেন, গতকাল শুক্রবার ফেসবুকে দেখার পর আমি আমার স্বামীর মোবাইল ফোনে কল দিলে অপরপ্রান্ত থেকে পুলিশ জানায় তিনি মারা গেছেন। লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। তখনই আমি ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জে রওনা দেই। ওর দুটি বাচ্চা আছে। একজন ক্লাস ওয়ান ও একজন কেজিতে পড়ে। আমি ওদের কাছে কি জবাব দিব। ওরা তো জানে না ওদের বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে, আমার সন্তানের মুখের বাবা ডাক কেড়ে নিয়েছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।  

নিহতের শ্বশুর হাবিবুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দলের নেতাকর্মীরা আমার জামাতাকে হত্যা করেছে। আমিও তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি।  

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ডা. কে এম বাবর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গতকালের ঘটনার জন্য দায়ী। তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরিবার ও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা দায়ের করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নামে হত্যা মামলা করা হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। তাদের গাড়ি বহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের ব্যানার ফেস্টুন ছেড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহত হন।  

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৩৫ জন আহত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।