ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
খুলনায় ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা

খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা মহানগরীর নিচু এলাকা। থেমে থেমে হচ্ছে ভারী বৃষ্টি, সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।

গত চারদিনের আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

ভারী বর্ষণের কারণে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে সড়কে যানবাহন ছিল কম। যানবাহন স্বল্পতার কারণে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জরুরি কাজে বাইরে গিয়ে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। রিকশা ও অটোরিকশাচালকরা বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে ইচ্ছামতো ভাড়া দাবি করেন। ফলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই লোকজনকে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। রাস্তায় পানি জমে থাকায় খানাখন্দে পড়ে পথচারীরা দুর্ঘটনায় পড়েন।

টানা বৃষ্টিতে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের নিচতলার ক্লাস রুম, প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা, খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পানিতে থই থই করছে। একই অবস্থা খুলনা সরকারি টি সার্চ ট্রেনিং কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক ইনস্টিটিউটে প্রবেশের রাস্তা এবং খেলার মাঠের। গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের খেলার মাঠে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। জামিআ রশীদিয়া গোয়ালখালী পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া মুজমুন্নী, গোয়ালখালী, নবীনগর, বাস্তুহারা, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভারী বর্ষণে আড়ংঘাটা থানার বিল ডাকাতিয়ার তেলিগাতী মৌজার সহস্রাধিক মাছ চাষির ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিকাশ রায় বাংলানিউজকে বলেন, ১১ বছর খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে চাকরি করি কখনও এ রকম পানিবন্দি অবস্থা দেখিনি। বারান্দায় হাঁটু পর্যন্ত পানি। বাংলা বিভাগের ডেস্কের নিচে পানি। ক্লাস রুমগুলোতে পানি। পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে বৃষ্টির পানি থই থই করছে।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাস্তুহারার ১২ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. নাসির হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, টানা ভারী বৃষ্টিতে আমাদের এলাকার প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি বাড়ির নিচতলায় হাঁটু পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের ঘরে পানি ঢুকে পরায় মালামাল অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে হচ্ছে। বাথরুমে পানি ঢুকে পরায় তা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এছাড়া রান্না ঘরে পানি ঢুকে মাটির চুলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় রান্না করা যাচ্ছে না।

খুলনা আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সোমবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খুলনায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আরও ২-১ দিন বৃষ্টি থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।