ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বেসরকারি জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে স্মারকলিপি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
বেসরকারি জুট মিলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে স্মারকলিপি

খুলনা: পাওনা পরিশোধের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসরকারি জুট মিলের শ্রমিকরা।

আটরা ও মিরেরডাঙ্গা  শিল্প অঞ্চলের ব্যক্তি মালিকানা মহাসেন, সোনালী, এ্যাজাক্স, আফিল জুট মিল ও হুগলী বিস্কুট কোম্পানি ও জুট স্পিনার্সসহ বছরের পর  বছর বন্ধ থাকা মিলগগুলো পুনরায় চালু ও শ্রমিক কর্মচারীদের চূড়ান্ত পাওনা এককালীন পরিশোধের জন্য নিজেকে এ্যাজাক্স মিলের মালিক হিসেবে দাবি করা কাওসার জামান বাবলা কর্তৃক মিলের ম্যাশিনারিজ, গাছপালা কেটে বিক্রি করার পায়তারার প্রতিবাদে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্মারকলিপি দিয়েছেন বেসরকারি পাট, সুতা, বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের নেতারা।

শ্রমিক নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে তার দপ্তরে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক শ্রমিক নেতাদের কথা শুনে অতিদ্রুত শ্রম পরিচালক ও ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা করে মিল মালিকদের সাথে বৈঠক করে দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।

আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শ্রমিক নেতারা বলেন, খুলনার বেসরকারি জুটমিলের মালিকরা সরকারের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লোন নিয়ে কৃত্রিম অর্থ সংকট দেখিয়ে মিলগুলো বন্ধ করে রেখেছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে কোনো কোনো মিল ৩ বছর থেকে শুরু করে ১০ বছর পূর্বে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। কিন্তু শ্রমিকের গ্রাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ কোনো পাওনাই পরিশোধ করেনি।

২০০৬ সালের শ্রম আইনে ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে ছাটাইকৃত শ্রমিকের পাওনা পরিষদের নিয়ম থাকলেও ১০ বছরেও শ্রমিকের গ্রাজুইটি ও পিএফ পরিশোধ করা হচ্ছে না। এদিকে এসব মিলের হাজার হাজার পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে বিনা চিকিৎসায় মানবতার জীবনযাপন করছে। শত শত শ্রমিক তাদের পাওনা টাকা না পেয়ে দুশ্চিন্তা ও হতাশায়  বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী শাখার সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মাহফুজুর রহমান। এ্যজাক্স জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক, সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শ্রমিক নেতা আজাহার আলী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহসেন জুট মিলের শ্রমিক নেতা আসহাব উদ্দীন, আফিল জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন, বেসরকারি পাট সূতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেক, হুগলী বিস্কুট কোম্পানি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল ওহাব, সাংবাদিক মিহির রজ্ঞন বিশ্বাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।