ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ঢল

গাইবান্ধা: আবহমান বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও শতবর্ষের প্রাচীন সংস্কৃতি নৌকাবাইচ। নদীমাতৃক বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে বুকে ধারণ করে গাইবান্ধা ফুলছড়ির ব্রহ্মপুত্র নদে শেষ হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসীঘাটে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতাটি হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু কিশোরসহ সর্বস্তরের লোকজন উপভোগ করেছে।

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় মিলে ৯টি নৌকা অংশগ্রহণ করে।  

বালাসী যুব সমাজ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেন যমুনা এক্সপ্রেস বগুড়া, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন শেরে বাংলা জামালপুর, তৃতীয় স্থান অধিকার করে চাঁদের আলো কুড়িগ্রাম নামের নৌকা দল।  

প্রথম পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয় একটি মোটরসাইকেল, দ্বিতীয় পুরস্কার একটি ফ্রিজ, তৃতীয় পুরস্কার একটি ৩২” এলইডি টিভি ও চতুর্থ পুরস্কার একটি ২৪” এলইডি টিভি তুলে দেন আয়োজকরা।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদেকুল ইসলাম নান্নু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধা জেলা বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শফিউল করিম দোলন, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম সোলায়মান হোসেন শহীদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ওহিদুল ইসলাম জয়, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান ডিপটি, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।  

আয়োজক কমিটির সভাপতি মফিজুল হক রনি বলেন, গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও স্থানীয়রা মিলে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। খেলাটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলার সার্বিক সহযোগিতা করেছি এবং সুষ্ঠুভাবে নৌকাবাইচ শেষ করতে পেরেছি। হাজার হাজার দর্শক এ খেলা উপভোগ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।