ঢাকা: গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমরা এখন গণতন্ত্র চাই, ভোটের অধিকার ও আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা চাই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার আয়োজনে ‘জনগণের প্রত্যাশায় আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকারবিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ১/১১ এর মাধ্যমে এবং হাসিনা সরকারের আমলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিল। এরপর থেকে গণতন্ত্র আর মানুষের ভোটের অধিকার রইলো না। ২০১৪ সালে বিনাভোটে ১৫৪ জন নির্বাচিত হয়ে গেলো। ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়ে গেলো। ২৪ সালে ডামি নির্বাচন হলো। অর্থাৎ মানুষ আর ভোট দিতে পারলো না। ভোটের অধিকার কেড়ে নিলো।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, যে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার থাকবে না, কথা বলার অধিকার থাকবে না, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা থাকবে না, সে দেশ স্বাধীন কীভাবে হয়। গত ১৬ বছরে আমাদের যেভাবে রাখা হয়েছিল সেই জায়গা থেকে মানুষ বিদ্রোহ করার চেষ্টা করে, আন্দোলন করার চেষ্টা করে। আর এর প্রতিফলন ঘটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে। এ অভ্যুত্থান শুধু ছাত্ররা করেনি। দেশের জনগণও করেছে। তারা আহত হয়েছে, জীবন দিয়েছে। কারণ জনগণ তাদের অধিকার চায়, মানবাধিকার চায়।
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর জসিম উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির ব্যাপারী, এস এম রহমতুল্লাহ, ইমান সিদ্দিকি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৫
ইএসএস/আরবি