দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় আধা কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে রক্তের ফোঁটা দেখেন পথচারীরা। সেই রক্তের ফোঁটা গিয়ে শেষ হলো ভুট্টাক্ষেতে।
খবর পেয়ে আলামত সংগ্রহ করে পুলিশ। এই আলামতে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সন্দেহ হলেও কোনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ) বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর ফুলডাঙ্গা মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ফুলডাঙ্গা এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে একটি ভুট্টাক্ষেতের পাশে কাজ করছিলেন কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি। সেখানে বেশ কিছু ভুট্টার গাছ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, সিমকার্ডসহ একটি মোবাইলফোন দেখতে পায়। এছাড়াও পাশে রক্তমাখা একটি দড়ি এবং দুই বোতল পেট্রোল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে আধা কিলোমিটার পাকা সড়কের ওপর রক্তের ফোঁটা দেখতে পায় এলাকাবাসী।
খবর পেয়ে দুপুরে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বাঁশে লাঠি, ভুট্টাক্ষেতে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা, একটি বোতাম, সিমকার্ডসহ মোবাইলফোন এবং পাকা সড়কের পাশ থেকে রক্তমাখা নাইলন দড়ি জব্দ করেন।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘটনাস্থলের কাছে পূর্বে দক্ষিণ মাধুপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে একটি ইসলামি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিল চলাকালে দক্ষিণ মাধুপুর নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় মোবাইলফোনে ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন গভীর রাতে ভুট্টাক্ষেতে হত্যাকাণ্ডের পরে লাশ গুম করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, খবর পেয়ে ভুট্টাক্ষেত থেকে রক্তমাখা লাঠি ও পাশের পাকা সড়কে রক্তমাখা দড়ি, সিমসহ মোবাইলফোন ,দুই বোতল পেট্রোলসহ বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কোনো লাশ মেলেনি। এটি একটি পরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ড কিনা তদন্ত চলছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৫
এসএএইচ