ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৪ জুন ২০২৫, ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে নগর ভবনে, চলছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৯, জুন ২৪, ২০২৫
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে নগর ভবনে, চলছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে যাচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা।

ঢাকা: দীর্ঘদিন পর সেবার গতি ফেরায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে। সেই সঙ্গে সেবা প্রত্যাশীদের আগমনও বেড়েছে।

সেবার পাশাপাশি নগরভবনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) নগর ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন সেবা প্রত্যাশীরা। সেবা প্রত্যাশীদের কেউ আসছেন জন্ম সনদের জন্য, কেউ আসছেন মৃত্যু সনদের জন্য। আবার কেউ আসছেন ওয়ারিশ সনদ নিতে কিংবা হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে। অল্প সময়ের মধ্যে তারা কাজ সেরে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু আজও নগর ভবনের কার্যালয়ে দেখা যায়নি প্রশাসক এবং প্রকৌশলীদের।

প্রয়োজনীয় সেবা নিয়ে বের হওয়ার সময় কথা হয় ওয়ারী থেকে আগত রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেক দিন এসে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। সোমবার (২৩ জুন) আসা হয়নি কিন্তু আজ খুব সহজেই কাঙ্ক্ষিত সেবা পেয়ে অনেকটা উপকৃত হলাম। আশা করছি এ সেবা অব্যাহত থাকবে।

নগর ভবনে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইশরাক সমর্থকরা। সকাল ১০টা থেকে নগর ভবনের সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। স্লোগানে স্লোগানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করছেন তারা।

গত রোববার (২২ জুন) দুপুরে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়ক সাবেক সচিব মশিউর রহমান নাগরিক সেবা চালু রাখতে নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কর্মরতদের কাজে ফেরার আহ্বান জানান।

বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে গত ১৪ মে থেকে ঢাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সব প্রকার নাগরিক সেবা বন্ধ রাখেন কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। তবে, ঈদুল আজহার আগে জরুরি সেবাগুলো চালুর ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন। তারই ধারাবাহিকতায় নগর ভবনে টানা তিন দিন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেসময় থেকেই নাগরিক সেবা সচল রাখারও ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন ইশরাক। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা চলমান নাগরিক সেবা বাধাগ্রস্ত করে এর সব দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপতৎপরতা চালাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করে আসছিলেন ইশরাক হোসেন।

আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।