ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও মো. ওবায়দুল হক তাহেরের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে ওইদিন আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী হাজির করতে না পারলে রাষ্ট্রপক্ষকে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ননী-তাহেরের পক্ষে সাক্ষ্য দিতে একজন সাফাই সাক্ষীর নাম দেওয়া হয়েছিল। বুধবার (০২ ডিসেম্বর) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাফাই সাক্ষীকে হাজির করতে পারেননি আসামিপক্ষ। পরে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের দিন পিছিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।
ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ২৩ জন সাক্ষী।
গত ৫ এপ্রিল তাহের-ননীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল।
গত ২ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, দেশান্তরিতকরণ, বাড়িঘরে আগুন ও লুটপাটের ছয়টি মানবতাবিরোধী অভিযোগে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে রয়েছে ৪২ জনকে অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যা-গণহত্যা, দুই পরিবারকে বাড়ি দখল ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে দেশান্তরিতকরণ এবং প্রায় সাড়ে ৪শ’ বাড়ি ঘরে লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর তাহের-ননীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন।
গত বছরের ৫ নভেম্বর ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে ৬৩ পৃষ্ঠার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করেছেন তদন্ত সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর। গত বছরের ৬ জুন থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। ৯ নভেম্বর এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় প্রসিকিউশনে।
গত বছরের ১২ আগস্ট তাহের ও ননীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর পর পরই নেত্রকোনা পৌর শহর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। ১৩ আগস্ট ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল।
২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা আলী রেজা কাঞ্চন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর