ঢাকা: ‘প্রার্থী সে যেই হোক, কোনো সমস্যায় পড়ে আবেদন করলে তার পক্ষেই অবস্থান নেওয়া হবে। কেননা, প্রতিটি প্রার্থীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসি সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ঘরোয়া সভায় পুলিশের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধান, একটি দল তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানির বিষয়বস্তু হিসেবে দেখছে, বলে অভিযোগ উঠেছে- বিষয়টি নিয়ে জাবেদ আলী বলেন, আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে। ইসি প্রতিটি প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেবে। নিজস্ব প্রতীক অনুযায়ী তাদের চলাফেলা বা প্রচারণার ক্ষেত্রে যেন সমান সুযোগ থাকে তা নিশ্চিতে সক্রিয় থাকা হবে। আমাদের কাছে প্রতিটি প্রার্থী; সে কোন দলের তা বিবেচনার বিষয় নয়, তারা প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। কোনো প্রার্থী যদি সমস্যার কথা জানিয়ে আবেদন জানান, আমরা অবশ্যই তার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করবো। প্রার্থীর অসুবিধা দূর করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রায় হাফ কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণ করেন, এরপর পর্যবেক্ষকরাও রয়েছেন। আশা করি- সবার সহযোগিতায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। এছাড়া সবাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সহায়তা করবে।
সরকারের সহায়তার বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানেই সবার সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলা আছে। তাই সরকার বা কোনো দল নির্দিষ্ট করা নেই। বাংলাদেশের সবাই আমাদের কাজে সহয়তা করবে। আশা করি সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবো।
জাবেদ আলী বলেন, প্রতিটি নির্বাচনেই যথেষ্ট পরিমাণে অ্যাক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিরা ছাড়াও দেশি-বিদেশি নানা উৎস থেকে বিভিন্ন খবরাদি পেয়ে থাকি। এসবেই ভিত্তিতে যা কিছু করা প্রয়োজন সে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে যথেষ্ট মনিটরিংও করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, আচরণবিধিতে প্রচারণার বিষয়ে পরিষ্কার করে বলা আছে- গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা প্রচারণায় যেতে পারবেন না। সেখানে প্রধানমন্ত্রীও আছেন বলে আমি জানি।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে ৪০টি দল নিবন্ধিত আছে। কিন্তু সংবিধান অনুসারে সংগঠন বা দল করার অধিকার আছে। তবে আমাদের নিবন্ধিত হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। নিবন্ধন হলে কেবল একটি নির্দিষ্ট প্রতীক পাবেন।
জামায়াতের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে ৬৬ ধারায় বলা আছে- কারা নির্বাচনে যোগ্য, কারা যোগ্য নয়। তাই এই নির্বাচনেও যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিষয়টি এই আইনে বলা আছে। তাই কোনো নির্দিষ্ট দল বা ব্যক্তি বিশেষ নয়; এদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ডিসকোয়ালিফিকেশন যদি না থাকে তবে সে প্রার্থী হতে পারেন।
তিনি বলেন, প্রার্থীদের আচরণবিধিমালা প্রতিপালনের নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছেও পাঠানো হয়েছে। কেউ দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার পর মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না।
জাবেদ আলী বলেন, প্রার্থীদের প্রতিটি খরচই জানাতে হবে নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যেই। আশা করি, সবাই নির্ধারিত ব্যয় সীমার মধ্যে নির্বাচনী ব্যয় করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
ইইউডি/আইএ