রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছিল পার্বত্যবাসী।
আশা করেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে এতদাঞ্চলের মানুষের শাসনতান্ত্রিক অংশীদারীত্ব প্রতিষ্ঠা পাবে।
এ শাসনতান্ত্রিক অংশীদারীত্বের মাধ্যমে এতদাঞ্চলের স্থায়ী অধিবাসীরা নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই নির্ধারণ করার প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা তৈরি হবে। কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৮ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় আজ অবধি পার্বত্যবাসীর সেই শাসনতান্ত্রিক অংশীদারীত্ব যেমনি নিশ্চিত হয়নি, তেমনি অর্জিত হয়নি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সেই কাঙ্খিত রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি ও চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটির কুমার সমিত জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় পার্বত্য চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের দাবিতে ১লা জানুয়ারি থেকে দশটি বিষয়ে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সন্তু লারমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সংসদীয় ককাস কমিটির সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দীন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, জনসংহতি সমিতির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ক্যসা মং মারমা, যুব সমিতির নেতা উদয়ন ত্রিপুরা, মহিলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুপ্রভা চাকমা।
সমাবেশ চলাকালীন সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
আরএ