রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমাকে দেশপ্রেমিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, তিনি একজন গণতান্ত্রিক মানুষ। তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন।
পার্বত্য শান্তিচুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গওহর রিজভী বলেন, আমি জানি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে আপনাদের মনে অনেক ক্ষোভ, ব্যথা রয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই তা নিরসন করা হবে। চুক্তি বাস্তবায়ন বেশিরভাগই হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চুক্তি অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। সামান্য যা কিছু আছে, তাও দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, চুক্তি আমরা করেছি, আমরাই বাস্তবায়ন করবো। চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে তিনি বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। -যোগ করেন রিজভী।
সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একসঙ্গে কাজ করলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বর, জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমাসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা অবৈধ অস্ত্র। পাহাড়ের মানুষ অবৈধ অস্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। চুক্তির মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টিও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। পাহাড়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হলেই কেবল পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।
চুক্তি বাস্তবায়নে অসহিষ্ণু, অধৈর্য হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র থাকলে শান্তির সুবাতাস মানুষ পাবে না। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেই মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
এসআই