ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, দশম সংসদ নির্বাচন ও চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় ‘সরকারবিরোধী’ অনেক কর্মকর্তাকে নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল প্রস্তুত করেছিলেন (নিয়োগ) রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সে সময় এ নিয়ে ব্যাপক ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল ইসিকে। তাই এবার আর সে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না কমিশন। যে কারণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির উপ-সচিব সামসুল আলম ইসির নির্দেশনাটি জারি করে চিঠি পাঠিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে। এতে বলা হয়েছে- ভোটগ্রহণের জন্য কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিধিমালার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন কোনো ব্যক্তিকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বা পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না, যিনি কোনো প্রার্থীর অধীন বা পক্ষে কর্মরত আছেন বা ছিলেন।
এছাড়া, ওই চিঠিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল থেকে কর্মকর্তা নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিকে অবহিত করতে বলা হয়েছে। যেখানে সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত ভোটকক্ষের ক্ষেত্রে যথাসম্ভব নারী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় নির্বাচন করবে ইসি। এতে প্রথমবারের মতো দেশে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়প্রতীকে ভোটগ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে মেয়র পদেই কেবল দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করবে ইসি। কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয় নির্বাচন হবে।
** স্থগিত হচ্ছে সিংগাইর পৌর নির্বাচন
** মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় সাড়ে ৫ লাখ
** ফ্রক, পুতুল, চুড়িও নারী প্রার্থীদের প্রতীক!
** গোপন চাঁদা বন্ধ করতে ৪ মন্ত্রণালয়ে ইসির নির্দেশনা
** প্রার্থী যেই হোক তার পক্ষেই অবস্থান নেবে ইসি
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৫
ইইউডি/আইএ