ঢাকা: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায়। অথচ এরপর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মনোনয়নপত্র গণনার কাজ শেষ করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এক্ষেত্রে শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) দিনভর তেমন কোনো কর্মকর্তাই অফিস করেননি। যে গুটি কয়েকজন এসেছেন তাদের অনেকেই অফিসে অলস সময় অতিবাহিত করেছেন! বৃহস্পতিবার রাত ১১টার পর মনোনয়নপত্র গণনা বন্ধ করা হলেও, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা আর এগোয়নি। তবে রাত নেমে আসার পর শুরু হয় তোড়জোড়।
গত কয়েক বছর ধরে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীর সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) নামের একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করছে ইসি। তবে এতেও কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। মূলত ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটি হয়েছে বলে জানান খোদ কমিশন কর্মকর্তারাই।
শুক্রবার সকাল থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব রাজীব আহসান শুধু অফিস করেছেন। দুপুরের পর আসেন সমন্বয়কারী উপ-সচিব মতিয়ার রহমান, সামসুল আলম ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান। নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী আসেন সন্ধ্যার দিকে, যিনি কিনা এ নির্বাচনের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি আসার পর কাজে কিছুটা অগ্রগতি আসে।
ইসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, এটি গাফিলতি ছাড়া আর কিছু নয়। সফটওয়্যারে কাজ আরও দ্রুত হওয়ার কথা। আগে যখন ম্যানুয়ালি কাজ করা হতো, তখন মনোনয়নপত্র দাখিলের পরদিন সকালেই সব তথ্য পাওয়া যেতো।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের নির্বাচন উপযোগী ২৩৫ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। এবারই প্রথমবারের মতো দেশে স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে দলীয়প্রতীকে ভোট হবে কেবল মেয়র পদে। কাউন্সিলর পদে আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে।
শনিবার শুরু হবে মনোনয়নপত্র বাছাই। কিন্তু এখনও কয়টি দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে জানে না ইসি। জানে না মোট কত প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
ইইউডি/আইএ