সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে কেন্দ্র দখল করে ভোট দেওয়ার ছবি তোলায় স্থানীয় দৈনিক যমুনা প্রবাহের সহকারী সম্পাদক ও জেলা ফটো সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নওশাদ আহম্মেদকে মারধর করে আহত করেছে কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন।
এ সময় ওই সাংবাদিকের ব্যবহৃত ক্যামেরা ভাঙচুর করে দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিনকেও লাঞ্ছিত করেছে অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে সদর পৌরসভার রহমতগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আহত নওশাদ আহম্মেদ জানান, ওই কেন্দ্রে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্র দখল করে ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছিল। এ সময় ছবি তুলতে গেলে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা আমাকে মারধর করে। আমার ক্যামেরা ভাঙচুর করে দু’টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
কাউন্সিলর প্রার্থী হেলাল উদ্দিন জানান, ৪নং ওয়ার্ডে আমার প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান তালুকদার ও তার লোকজন কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল ইসলাম জানান, ওই কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী ও অপর কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকী বাংলানিউজকে জানান, প্রার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এখন ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমজেড