ঢাকা: বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ২১ মিনিটের পর আর দেখা মেলেনি ২০১৫ সালের সূর্যের। সবাই যে যার মতো করে বিদায় জানিয়েছিলেন এই কিরণকে।
বৃহস্পতিবার সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে শেষ হলো একটি বছরের (২০১৫ সাল) হিসাব-নিকাশ। যা ফের শুরু শুক্রবারের (০১ জানুয়ারি-২০১৬) নতুন সূর্যের মধ্য দিয়ে।
কনকনে শীতের সকাল। ঘড়ির কাটা তখন ভোর সাড়ে ৫টা। ২০১৬ সালের নতুন সূর্যের অপেক্ষা। তবে তারও ঘণ্টা খানেক পর কুয়াশায় ঘেরা শীতল পরিবেশ ভেঙে এলো নতুন দিন। উঠলো বছরের নতুন সূর্য।
বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যে, বৃহস্পতিবার ঢাকা এবং এর আশপাশে বেলা ১২টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার খোলামেলা পরিবেশে শীতের তীব্রতা যেন আরও বেশি।
শুক্রবার ঢাকায় সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে সূর্য ওঠার কথা। প্রথম দিনের প্রথম সূর্য দেখার জন্য বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের এল ব্লকে হাজির হওয়া তাই কাক ডাকা ভোর সাড়ে ৫টায়। ধেয়ে আসা ঘন কুয়াশা তখনও স্থির।
দীর্ঘ ১ ঘণ্টা ২৭ মিনিট অপেক্ষার পালা শেষে ৬টা ৫৭ মিনিটে দেখা মেলে কাঙ্ক্ষিত প্রথম সূর্যের। এটি বছরের প্রথম সূর্য। বাংলানিউজের স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট খায়রুল আলম রাজীব যা ক্যামেরাবন্দি করেন। একের পর এক ক্লিক, ক্লিকে মনের মতো ছবি তুলতে থাকেন তিনি।
অতীতের সব অসুন্দর ও ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা নতুন সূর্যের আলোয়। তাই তো নতুন করে ভাবার, নতুন কিছু করার অনুপ্রেয়ণা- নতুন বছরের এই নতুন সূর্যটিকে ঘিরে।
দশ দিগন্তে আলোর নাচন তুলবে নতুন বছর। দিন আসবে, দিন যাবে- তবে এর মধ্য দিয়েই আসবে সফলতা। নতুন সূর্যকে অভিবাদন জানিয়েই শুরু হোক নতুনভাবে পথচলা।
নববর্ষের প্রথম সূর্যকে নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও যেন কৌতূহরের শেষ নেই। তাই তো তিনি লিখেছেন-
প্রথম দিনের সূর্য
প্রথম দিনের সূর্য
প্রশ্ন করেছিল
সত্তার নতুন
আবির্ভাবে
কে তুমি?
মেলেনি উত্তর।
বৎসর বৎসর চলে গেলো।
দিবসের শেষ সূর্য
শেষ প্রশ্ন উচ্চারিল
পশ্চিম সাগর তীরে
নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়
কে তুমি?
পেলো না উত্তর।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৬
এমআইএস/আইএ