ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে ২০ জানুয়ারির মধ্যে যৌক্তিক সুরাহা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিভাবকরা।
রোববার (০৩ জানুয়ারি) প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শেষে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর তারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
অভিভাবকদের দাবি, কোনো আলোচনা ছাড়াই দ্বিগুণ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী, তিন সন্তান পড়লে একজনের বেতন ফ্রি, দুই সন্তান পড়লে একজনের অর্ধেক বেতন ফ্রি করে দিতে হয়। অথচ এটা এখানে করা হয় না।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন অভিভাবকদের কাছ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। অভিভাবকরা ২০ জানুয়ারির মধ্যে সুরাহা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজিয়া সুলতানা নামে একজন অভিভাবক বলেন, আমার তিনটা সন্তান এখানে পড়ে। নবম শ্রেণিতে একজন, তৃতীয় শ্রেণিতে একজন ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে একজন। নিয়মানুযায়ী আমার এক সন্তানের বেতন ফ্রি হওয়ার কথা। সেটা না করে তারা এখন আবার দ্বিগুণ বেতন করেছেন।
তিনি বলেন, আমার দ্বিতীয় শ্রেণির সন্তানের বেতন আগে ছিল মাসে ১৩০০ টাকা। এখন সেটা ২১০০ টাকা করা হয়েছে, প্রায় দ্বিগুণ। আর ওপরের ওগুলো তো আরও বেশি।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আবুল হোসেন বলেন, নতুন পে-স্কেল অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার মতো অর্থ আমাদের নেই। পে-স্কেল অনুযায়ী শিক্ষকদের বেতন মেটাতেই বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।
তিনি জানান, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে মোট তিনশ’ ৫০ জন শিক্ষক, ৭৯ জন স্টাফ এবং নয় হাজার তিনশ’ শিক্ষার্থী। বাংলা ভার্সনে ৩০ শতাংশ, ইংলিশ মিডিয়ামে ৩৫-৪০ শতাংশ এবং ইংলিশ ভার্সনে ৪৫-৫০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বেতন বাড়ানোর বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি স্বীকার করে অধ্যক্ষ বলেন, তাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা অভিভাবকদের পক্ষ নেওয়ার চেষ্টা করবো।
এর আগে সকাল ৮টায় বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ করেন অভিভাবকরা। পরে সকাল ১০টায় কাকরাইল ভিআইপি রোড অবরোধ করেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
** কাকরাইলে অভিভাবকদের সড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
এফবি/এসউজে/এএসআর