ঢাকা, রবিবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

আমবয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
আমবয়ানে শুরু বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গাজীপুর: টঙ্গীর তুরাগ তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ।

শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বাদ ফজর ভারতের মাওলানা আবদুর রহমান উর্দুতে এ বয়ান শুরু করেন।

রোববার (১০ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম ধাপ।

তাবলিগ জামায়াত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা পর্যায়ক্রমে আখলাক, ঈমান ও আমলের ওপর বয়ান করবেন।

বয়ান শুনে ইজতেমা ময়দানে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন লাখো মুসল্লি। গত কয়েকদিন ধরেই মুসল্লিরা দলবেধে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে এসে চটের তৈরি সুবিশাল সামিয়ানার নিচে অবস্থান নিতে থাকেন। শুক্রবার জুমার নামাজে অংশ নিতে আগ থেকেই লাখো মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন।

বিভিন্ন জেলার তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠে এসে নিজ নিজ জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য নির্মিত তাশকিল কামরার টিনের সামিয়ানার পূর্ব পাশে স্থাপিত মূল মঞ্চ থেকে তাবলিগ জামায়াতের শীর্ষ স্থানীয় মুরব্বিরা আরবি ও উর্দুতে বয়ান করবেন। মুসল্লিদের সুবিধার্থে তা বাংলায় তরজমা করা হবে। এসব বয়ান ইংরেজি, ফার্সি, মালয় ভাষায়ও তরজমা করা হবে।

ইজতেমা এলাকায় গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংযোগ, মুসল্লিদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাসহ সরকারি-বেসরকারি দফতরের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার কর্মকর্তারা মাঠে অবস্থান নিয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশ থেকে আসা মুসল্লিরা ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশেপাশের এলাকার লাখো মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশেপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা ময়দানমুখী মানুষের ঢল নামে। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলিগলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা, চটের বস্তা, খবরের কাগজ বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস
ইজতেমার মুরব্বিদের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজি ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয় ইজতেমা। পরে সরকারিভাবে তুরাগ তীরের ১৬০ একর জমি স্থায়ীভাবে ইজতেমার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আখেরি মোনাজাতের প্রস্তুতি 
রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দান পূর্ণ হয়ে গেছে। মূল প্যান্ডেলে স্থান না পেয়ে অনেক মুসল্লি নিজ উদ্যোগেই প্যান্ডেলের বাইরে পলিথিন ও কাপড়ের সামিয়ানা টাঙিয়ে চট, হোগলা বিছিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। রোববার হেদায়েতি বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম দফা। আগামী শুক্রবার শুরু হবে দ্বিতীয় দফার তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা।

তাশকিলের কামরায় চিল্লাভুক্ত মুসল্লি
ইজতেমার প্যান্ডেলের উত্তর-পশ্চিমে তাশকিলের কামরা স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন খিত্তা থেকে বিভিন্ন মেয়াদে চিল্লায় অংশগ্রহণেচ্ছু মুসল্লিদের এ কামরায় আনা হচ্ছে ও তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পরে কাকরাইল মসজিদের তাবলিগি মুরব্বিদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলাকা ভাগ করে তাদের দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাবলিগি কাজে পাঠানো হবে।

২৭ খিত্তায় ১৭ জেলার মুসল্লি
এবারের ইজতেমায় মোট দুই দফায় ৩২টি জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। প্রথম দফায় ঢাকা জেলাসহ ১৭টি এবং দ্বিতীয় দফায় ঢাকা জেলাসহ ১৬টি জেলা অংশ নিচ্ছে ইজতেমায়। ঢাকা জেলার মুসল্লিরা ইজতেমার দুই পর্বেই অংশ নেবেন। প্রথম দফার ইজতেমায় ১৭ জেলার আগত মুসল্লিদের জন্য ময়দানকে ২৭টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে।
 
যানবাহন চলাচল ও পার্কিং
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি প্রথম ধাপ ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ উপলক্ষে মুসল্লিদের নিরাপদ যাতায়াত এবং সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ বিভাগ।

৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা এবং ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আশুলিয়া ব্রিজ থেকে আব্দুল্লাহপুর হয়ে প্রগতি সরণি এবং টঙ্গী ব্রিজ হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে বিমানযাত্রী ও ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স চলতে পারবে এই পথে। এছাড়া ঘোড়াশাল-কালীগঞ্জ-পূবাইল হয়ে আগত যানবাহন টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব মরকুন (কে-২ ফ্যাক্টরি) পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে ঘোড়াশাল হয়ে সাধারণ যানবাহন ওই রাস্তা এড়িয়ে কাঁচপুর/যাত্রাবাড়ী সড়কে চলাচল করতে পারবে। ইজতেমায় গমনেচ্ছু মুসল্লি এবং উত্তরার অধিবাসী, বিমানযাত্রী ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও নিরাপত্তাবাহিনীর গাড়ি বা অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চালকদের বিমানবন্দর সড়কের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে মিরপুর-সাভার সড়ক ব্যবহার করতে হবে। ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে যাবেন তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গোল চক্কর-আজমপুর-আব্দুল্লাহপুর হয়ে টঙ্গী ব্রিজ পরিহার করে তুরাগ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজ অথবা কামারপাড়া ব্রিজ দিয়ে ইজতেমা মাঠে যাতায়াতের জন্য বলা হয়েছে।

মুসল্লিদের বহনকারী গাড়ি পার্কিং
গাজীপুর জেলার যানবাহনকে টঙ্গীর কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল কম্পাউন্ড, মেঘনা টেক্সটাইল মিলের পাশে রাস্তার উভয় পাশে, শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি মাঠ, শফিউদ্দিন সরকার একাডেমি সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে টিআইসি মাঠ, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠ, জয়দেবপুর চৌরাস্তা (তেলিপাড়া) ট্রাকস্ট্যান্ড, চান্দনা হাইস্কুল মাঠ, টঙ্গীর কে-২ (নেভি) সিগারেট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন খোলা স্থানে পার্কিং করতে হবে। ঢাকা মহানগর এলাকা থেকে আগত যানবাহনকে গাউছুল আজম এভিনিউয়ে পার্কিং করতে হবে (১৩ নং সেক্টর রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত হয়ে গরীবে নেওয়াজ রোড)। ঢাকা বিভাগের যানবাহনকে সোনারগাঁও জনপথ চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় পর্যন্ত, সিলেট বিভাগের যানবাহনকে উত্তরার ১২ নং সেক্টরের শাহ মখদুম এভিনিউ, খুলনা বিভাগের যানবাহনকে উত্তরার ১৫ এবং ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা, রংপুর বিভাগের যানবাহনকে কামারপাড়া সংলগ্ন মাঠ ও ১০ নং সেক্টরের খালি জায়গা, রাজশাহী বিভাগের যানবাহনকে প্রত্যাশা হাউজিং, বরিশাল বিভাগের যানবাহনকে ধউর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় (আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের খালি জায়গা এবং ১৫ ও ১৮ নং সেক্টরের খালি জায়গা) এবং ঢাকা জেলার যানবাহনকে আশুলিয়া কলেজ মাঠ ও আশুলিয়া হাইস্কুল মাঠে পার্কিং করতে হবে।

তবে মহাখালী ক্রসিং থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে, আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে, মধ্য বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রগতি সরণিস্থ রাস্তার দু’পাশে যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
 
স্বাস্থ্যবিভাগের নানা উদ্যোগ ও ছুটি বাতিল
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ। ৭ জানুয়ারি থেকে ইজতেমার শেষ পর্যন্ত জেলার কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগের সব চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট টঙ্গী সরকারি হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে হৃদরোগ বিভাগ, অর্থোপেডিক ও ট্রমা সেন্টার এবং অ্যাজমা ও বক্ষব্যাধি ইউনিট খোলা হয়েছে। হাসপাতালে ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন মুন্নু গেট, বাটা গেট, এটলাস হোন্ডা গেট এবং বিদেশি নিবাস এলাকায় চারটি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতে ১৫টি স্যানিটেশন টিম ইজতেমা মাঠের আশপাশ এলাকার হোটেল ও রেস্তোরার খাবারের মান ঠিক আছে কিনা পরীক্ষার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে।

এদিকে মুন্নু নগরসহ ইজতেমা ময়দানের আশে-পাশের এলাকায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন মুসল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করেছে।

কার খিত্তা কোথায়
ইজতেমার প্রথম ধাপে আগত ১৭টি জেলার মুসল্লিরা বিভিন্ন খিত্তায় অবস্থান নেবেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলা ১ থেকে ৬ নং খিত্তায়, শেরপুর ৭ নং খিত্তায়, নারায়ণগঞ্জ ৮ ও ১১ নং খিত্তায়, নীলফামারী ৯ নং খিত্তায়, সিরাজগঞ্জ ১০ নং খিত্তায়, নাটোর ১২ নং খিত্তায়, গাইবান্ধা ১৩ নং খিত্তায়, লক্ষীপুর ১৪ ও ১৫ নং খিত্তায়, সিলেট ১৬ ও ১৭ নং খিত্তায়, চট্রগ্রাম ১৮ ও ১৯ নং খিত্তায়, নড়াইল ২০ নং খিত্তায়,  মাদারীপুর ২১ নং খিত্তায়, ভোলা ২২ ও ২৩ নং খিত্তায়, মাগুড়া ২৪ নং খিত্তায়, পটুয়াখালী ২৫ নং খিত্তায়, ঝালকাঠি ২৬ নং খিত্তায় এবং পঞ্চগড় জেলার মুসল্লিরা ২৭ নং খিত্তায় অবস্থান নেবেন।

এছাড়া ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইজতেমার দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা জেলার মুসল্লিরা ১ থেকে ৭ নং খিত্তায়, ঝিনাইদহ ৮ নং খিত্তায়, জামালপুর ৯ ও ১১ নং খিত্তায়, ফরিদপুর ১০ নং খিত্তায়, নেত্রকোনা ১২ ও ১৩ নং খিত্তায়, নরসিংদী ১৪ ও ১৫ নং খিত্তায়, কুমিল্লা ১৬ ও ১৮ নং খিত্তায়, কুড়িগ্রাম ১৭ নং খিত্তায়, রাজশাহী ১৯ ও ২০ নং খিত্তায়, ফেনী ২১ নং খিত্তায়, ঠাকুরগাঁও ২২ নং খিত্তায়, সুনামগঞ্জ ২৩ নং খিত্তায়, বগুড়া ২৪  ও ২৫ নং খিত্তায়,  খুলনা ২৬ ও ২৭ নং খিত্তায়, চুয়াডাঙ্গা ২৮ নং খিত্তায় এবং পিরোজপুর জেলার মুসল্লিরা ২৯ নং খিত্তায় অবস্থান নেবেন।

ঢাকা জেলার মুসল্লিরা ইজতেমার দুই ধাপেই অংশ নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
আরএম

** বিশ্ব ইজতেমা অভিমুখে মুসল্লিদের কাফেলা
** ইজতেমাস্থলে আরেক মুসল্লির মৃত্যু
** সরাইলে ইজতেমার বাস খাদে পড়ে নিহত ১
** ইজতেমাস্থলে মুসল্লির মৃত্যু
** ইজতেমার মাঠে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।