ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জুন থেকে পুরো সীমান্ত এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৬
জুন থেকে পুরো সীমান্ত এলাকা বিজিবির নিয়ন্ত্রণে ছবি: কাশেম হারুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের জুন মাস থেকে সীমান্তের কোনো অংশ অরক্ষিত থাকবে না। বিওপি স্থাপনের মাধ্যমে পুরো সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে।

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আগামী বছরের জুন মাস থেকে সীমান্তের কোনো অংশ অরক্ষিত থাকবে না। বিওপি স্থাপনের মাধ্যমে পুরো সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হবে।

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের ৫৩৯ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত ছিল। ইতোমধ্যে ৩৩২ কিলোমিটার সীমান্ত নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে।

সুন্দরবনের ৭২ কিলোমিটার সীমান্তে একটি বিওপি স্থাপন করা হয়েছে। আগামী মাসে আরেকটি স্থাপন করা হবে। এর ফলে সুন্দরবনের প্রায় ৪০ কিলোমিটার সীমানা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

আগামী জুনের মধ্যে আমাদের সীমান্ত আর অরক্ষিত থাকবে না। পুরোটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

সীমান্তে অস্ত্র চোরালানের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, অনেক বড় সীমান্তে বালুর ট্রাক, ফল ও পেঁয়াজের বস্তার সঙ্গে অস্ত্র চালান হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এটা কীভাবে বের করা সম্ভব?
এসব চালান বন্ধে ভ্যাকেল স্কেনারের প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি স্কেনারের মধ্যদিয়ে এসব পণ্যবাহী গাড়িগুলো আসে তাহলে আমরা সহজে শনাক্ত করতে পারতাম। স্কেনার হলে এই অস্ত্র চোরাচালান অনেকটা হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে হেলিসাপোর্ট সুবিধার ১২৩টা বিওপি স্থাপন করা হয়েছে। শিগগিরই দুটি হেলিকপ্টার সংযোজন করা হবে। হেলিকপ্টার পাওয়া গেলে দুর্গম সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কার্যক্রম আরো সহজ হবে।

৯ অক্টোবর সীমান্ত ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে আরো তিনটা শাখা চালু করা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে ১৮টি শাখা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যাংক থেকে বিজিবির সদস্যরা বর্তমানে সীমান্ত ঋণ, বিবাহ ঋণ ও শিক্ষা ঋণের সুবিধা পাবেন।

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএসএফ এর সঙ্গে বর্তমানে অনেকটা সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে সে দেশে গেলে কোনো হয়রানী ছাড়াই আমরা অনুরোধ করলে ফেরত দিচ্ছে। তবে মিয়ানমারের কাছ থেকে এখনো আশানুররূপ সাড়া পাচ্ছি না। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিদায়ের মূহুর্তে আপনি কোনো অতৃপ্তি নিয়ে যাচ্ছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কমেছে কিন্তু শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে পারিনি। মাদক চালান কমানো গেলেও বন্ধ করা যায়নি। আর ফেলানী হত্যা অনেক বড় একটা আলোচিত ঘটনা। এই বিচারটা দেখে যেতে পারিনি।
আর সার্বিকভাবে পূর্ণ তৃপ্তি নিয়েই এই বাহিনী থেকে বিদায় নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

**বিজিবির তিন চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
পিএম/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।