ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সিকৃবি প্রফেসর ড. মাছুদুর রহমানের পুরস্কার লাভ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
 সিকৃবি প্রফেসর ড. মাছুদুর রহমানের পুরস্কার লাভ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যক্ষ্মা রোগের মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি আবিষ্কার করে ক্লিনিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কার লাভ করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মাছুদুর রহমান।

সিলেট: যক্ষ্মা রোগের মলিকুলার ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি আবিষ্কার করে ক্লিনিক্যাল, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সেরা বিজ্ঞানীর পুরস্কার লাভ করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মাছুদুর রহমান।


সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের এ শিক্ষক সম্প্রতি ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ ৫০ হাজার টাকার চেক গ্রহণ করেন।

 
প্রতি বছর বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় সেরা গবেষকদের হাতে এ পুরস্কার বিতরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
প্রফেসর ড. মো. মাছুদুর রহমান বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার অন্তর্গত নারছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।   তার বাবার নাম মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা ও মায়ের নাম মোছা. মালেকা খাতুন।


তিনি ১৯৯১ সালে বগুড়ার ডেমাজানি শ ম র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে এসএসসি এবং ১৯৯৩ সালে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রথম শ্রেণিতে এইচএসসি পাস করেন।


তিনি সাফল্যের সঙ্গে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে প্রথম শ্রেণিসহ ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিগ্রি এবং ২০০১ সালে প্যাথলজি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষে তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে সিকৃবিতে (তদানীন্তন সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ) সহকারী প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন।


প্রফেসর ড. মো. মাছুদুর রহমান ২০০৮ সাল হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত চুনবুক ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি’র উপর গবেষণায় নিয়োজিত হন। ২০১১ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।


পরবর্তীতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পোস্ট ডক্টরাল গবেষক হিসেবে কাজ করেন।   ২০১৩ সালে তিনি সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে চেক প্রজাতন্ত্রের ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট এ যোগদান করেন ও সালমোনেলা রোগের ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের উপর গবেষণার কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেন।


একজন সফল বিজ্ঞানী হিসেবে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ৪৩টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং আমেরিকার মেডক্রাব প্রকাশনী হতে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।


প্রাণী চিকিৎসা বিজ্ঞান শাখায় অসাধারণ গবেষণার জন্য অতি সম্প্রতি তিনি ভারতের ভেনাস ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আউটস্ট্যান্ডিং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হন।   আগামী ৩ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি হবে।


এছাড়াও ২০১৪-২০১৫ সালে সেরা গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনার জন্য তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গবেষকের পুরস্কার পান।


বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা,নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এনইউ/এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।